ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

ভালুকায় শতাধিক কারখানা চালু, করোনা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হুমায়ুন কবির, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় করোনা ঝুঁকির মধ্যে প্রায় শতাধিক কারখানা চালু হয়েছে। রবিবার হতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। টেক্সটাইল, নীট ফ্যাক্টরী, কটন ফ্যাক্টরী ,সুয়েটার ফ্যাক্টরীসহ প্রায় শতাধিক কারখানা তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। বিজিএমই এর নির্দেশনা মোতাবেক দূর হতে শ্রমিক না আনার কথা বললেও বাস্তবে তা লক্ষ্য করা যায়নি। কাজে যোগদান করা শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব মানছেই না। তারা গাঁদাগাদি করে কারখানায় ঢুকছে আর বেরুচ্ছে। কিছু কিছু কারখানায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার গেইটের দারোয়ানরা

শ্রমিকদের হাতে হাতে দিচ্ছে এবং স্প্রে করছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অনেক শ্রমিক এসব না মেনেই ভিতরে ডুকে পরছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা
অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মানছে না অনেক ফ্যাক্টরী। ফলে ঝুঁকিতে পরছে শ্রমিকসহ এলাকাবাসী।

মাস্টারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আহম্মদ আলী কুতুব বলেন, উপজেলার মাষ্টারবাড়ী,সিডষ্টোর, এলাকায় বাসা ভাড়া করে হাজার হাজার শ্রমিক থাকে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এসব কারখানা চালু হওয়ায় শ্রমিকসহ এলাকার বাড়ী ওয়ালা সহ সাধারণ এলাকাবাসী করোনা ঝঁকিতে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। টিএম টেক্সটাইল লিমিটিডের নির্বাহী পরিচালক দূর্জয় জানান, ২৬তারিখে আমরা ফ্যাক্টরী খুলছি। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম চালাচ্ছি।

প্রত্যেক শ্রমিককে তাপমাত্রা মেপে ও হাত ধুয়ে এবং স্প্রে করে ফ্যাক্টরীতে ঢুকাচ্ছি। আমরা বিজিএমই এর পরামর্শে দূরের শ্রমিক না এনে কাছাকাছি
বাড়ী যাদের তাদের এনে কার্যক্রম চালাচ্ছি। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরীতে ৩০% শ্রমিক দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। তিনি আরও জানান,আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যত পরামর্শ সব মেনে চলার চেষ্টা করছি।

ক্রাউন ওয়্যার প্রাঃ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সোহেল রানা জানান, আমরা রবিবার হতে ফ্যাক্টরী চালু করেছি। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরীতে ৪০%শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি। আমরা সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছি। শ্রমিকদের থার্মাল টেষ্ট সহ সকল স্বাস্থ্য কার্যক্রম করে শ্রমিক কারখানায় ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে ৬ফিট দুরুত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের কাজ করতে বলছি। মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক ভাবে পরাচ্ছি। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে আমরা ফ্যাক্টরীতে ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছি। যাতে সামাজিক দুরুত্ব সব সময় বজায় থাকে।

ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ সাহেব আলী জানান,ভালুকায় রবিবার হতে এ পর্যন্ত ৭৮টি ফ্যাক্টরী চালু হয়েছে। আমরা যতটুকু
দেখছি তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছে। আর আমরা বলছি করোনা বেশী আক্রান্ত এলাকা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর হতে তাদের ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক না আনতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভালুকায় শতাধিক কারখানা চালু, করোনা ঝুঁকিতে শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

মোঃ হুমায়ুন কবির, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় করোনা ঝুঁকির মধ্যে প্রায় শতাধিক কারখানা চালু হয়েছে। রবিবার হতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। টেক্সটাইল, নীট ফ্যাক্টরী, কটন ফ্যাক্টরী ,সুয়েটার ফ্যাক্টরীসহ প্রায় শতাধিক কারখানা তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। বিজিএমই এর নির্দেশনা মোতাবেক দূর হতে শ্রমিক না আনার কথা বললেও বাস্তবে তা লক্ষ্য করা যায়নি। কাজে যোগদান করা শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরুত্ব মানছেই না। তারা গাঁদাগাদি করে কারখানায় ঢুকছে আর বেরুচ্ছে। কিছু কিছু কারখানায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার গেইটের দারোয়ানরা

শ্রমিকদের হাতে হাতে দিচ্ছে এবং স্প্রে করছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অনেক শ্রমিক এসব না মেনেই ভিতরে ডুকে পরছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা
অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মানছে না অনেক ফ্যাক্টরী। ফলে ঝুঁকিতে পরছে শ্রমিকসহ এলাকাবাসী।

মাস্টারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আহম্মদ আলী কুতুব বলেন, উপজেলার মাষ্টারবাড়ী,সিডষ্টোর, এলাকায় বাসা ভাড়া করে হাজার হাজার শ্রমিক থাকে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এসব কারখানা চালু হওয়ায় শ্রমিকসহ এলাকার বাড়ী ওয়ালা সহ সাধারণ এলাকাবাসী করোনা ঝঁকিতে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। টিএম টেক্সটাইল লিমিটিডের নির্বাহী পরিচালক দূর্জয় জানান, ২৬তারিখে আমরা ফ্যাক্টরী খুলছি। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম চালাচ্ছি।

প্রত্যেক শ্রমিককে তাপমাত্রা মেপে ও হাত ধুয়ে এবং স্প্রে করে ফ্যাক্টরীতে ঢুকাচ্ছি। আমরা বিজিএমই এর পরামর্শে দূরের শ্রমিক না এনে কাছাকাছি
বাড়ী যাদের তাদের এনে কার্যক্রম চালাচ্ছি। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরীতে ৩০% শ্রমিক দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। তিনি আরও জানান,আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যত পরামর্শ সব মেনে চলার চেষ্টা করছি।

ক্রাউন ওয়্যার প্রাঃ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সোহেল রানা জানান, আমরা রবিবার হতে ফ্যাক্টরী চালু করেছি। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরীতে ৪০%শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি। আমরা সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছি। শ্রমিকদের থার্মাল টেষ্ট সহ সকল স্বাস্থ্য কার্যক্রম করে শ্রমিক কারখানায় ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে ৬ফিট দুরুত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের কাজ করতে বলছি। মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক ভাবে পরাচ্ছি। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে আমরা ফ্যাক্টরীতে ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছি। যাতে সামাজিক দুরুত্ব সব সময় বজায় থাকে।

ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ সাহেব আলী জানান,ভালুকায় রবিবার হতে এ পর্যন্ত ৭৮টি ফ্যাক্টরী চালু হয়েছে। আমরা যতটুকু
দেখছি তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছে। আর আমরা বলছি করোনা বেশী আক্রান্ত এলাকা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর হতে তাদের ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক না আনতে।