ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo টাটা মটরস বাংলাদেশে উদ্বোধন করলো টাটা যোদ্ধা Logo আশা শিক্ষা কর্মসূচী কর্তৃক অভিভাবক মতবিনিময় সভা Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ




নেত্রকোনায় পুলিশের চোখের সামনে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনায় পুলিশের চোখের সামনে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি, 

নেত্রকোনা জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হলেও অবাধে শহরে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ। সেইসঙ্গে ঢুকছে মোটরসাইকেল, রিকশা, ইজিবাইক, পিকআপভ্যান। আর এসব যানে চেপে সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে লোক এসে প্রবেশ করছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লকডাউন মানছেন না স্থানীয়দের অনেকেই। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা দিচ্ছেন চায়ের আড্ডা।

নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চলতি মাসের ১৩ তারিখ। আইন অনুযায়ী যান ও মানব চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা খুব একটা মানা হচ্ছে না নেত্রকোনায়। নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হলেও ইজিবাইক, রিকশা, পিকআপ ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনে চরে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নেত্রকোনা জেলায় ঢুকছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল রোববার পর্যন্ত একদিনে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৪ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

যাদের অধিকাংশই জেলার বাইরে থেকে আসা। এদের মধ্যে একজনের দ্বিতীয় টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে বলে জানা যায়। যার দরুন জেলাবাসীর আতঙ্কের কারণ এসব বহিরাগত মানুষেরাই। অপরদিকে সাধারণ মানুষের অসচেতনতাতো আছেই।

প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা। কোথাও কোথাও তাদের বিশাল বিশাল আড্ডাও চোখে পরছে। রাস্তার মোড়ে বা পথের ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে সেসব আড্ডা। মানা হচ্ছে না সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব। পুলিশের আগমন টের পেয়ে সবাই নিরাপদ দুরত্বে চলে গেলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার যেই সেই অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যেন পুলিশের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা।

শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দিকে তাকালেই দেখা যায় লকডাউনকে তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। রাস্তায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।

পুলিশবাহিনী সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্যে অনুরোধ করছে। এমতাবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ও জনসচেতনতা বাড়াতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন নেত্রকোনাবাসী। অন্যথায় মারাত্মক খেসারত দিতে হবে জেলাবাসীকে এমনটাই ধারণা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, লকডাউন সফল করার জন্যে আমরা যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি। তবে অন্য জেলা থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক বা বিভিন্ন পেশার লোকজন জেলায় প্রবেশ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। ধান কাটার শ্রমিক বাদে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নেত্রকোনায় পুলিশের চোখের সামনে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

নেত্রকোনা প্রতিনিধি, 

নেত্রকোনা জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হলেও অবাধে শহরে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ। সেইসঙ্গে ঢুকছে মোটরসাইকেল, রিকশা, ইজিবাইক, পিকআপভ্যান। আর এসব যানে চেপে সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে লোক এসে প্রবেশ করছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। লকডাউন মানছেন না স্থানীয়দের অনেকেই। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা দিচ্ছেন চায়ের আড্ডা।

নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চলতি মাসের ১৩ তারিখ। আইন অনুযায়ী যান ও মানব চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা খুব একটা মানা হচ্ছে না নেত্রকোনায়। নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হলেও ইজিবাইক, রিকশা, পিকআপ ভ্যান ইত্যাদি যানবাহনে চরে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নেত্রকোনা জেলায় ঢুকছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল রোববার পর্যন্ত একদিনে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৪ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

যাদের অধিকাংশই জেলার বাইরে থেকে আসা। এদের মধ্যে একজনের দ্বিতীয় টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে বলে জানা যায়। যার দরুন জেলাবাসীর আতঙ্কের কারণ এসব বহিরাগত মানুষেরাই। অপরদিকে সাধারণ মানুষের অসচেতনতাতো আছেই।

প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা। কোথাও কোথাও তাদের বিশাল বিশাল আড্ডাও চোখে পরছে। রাস্তার মোড়ে বা পথের ধারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে সেসব আড্ডা। মানা হচ্ছে না সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব। পুলিশের আগমন টের পেয়ে সবাই নিরাপদ দুরত্বে চলে গেলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার যেই সেই অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যেন পুলিশের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা।

শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দিকে তাকালেই দেখা যায় লকডাউনকে তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। রাস্তায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।

পুলিশবাহিনী সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্যে অনুরোধ করছে। এমতাবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ও জনসচেতনতা বাড়াতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন নেত্রকোনাবাসী। অন্যথায় মারাত্মক খেসারত দিতে হবে জেলাবাসীকে এমনটাই ধারণা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, লকডাউন সফল করার জন্যে আমরা যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি। তবে অন্য জেলা থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক বা বিভিন্ন পেশার লোকজন জেলায় প্রবেশ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। ধান কাটার শ্রমিক বাদে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।