ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে আলি আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ Logo ইবিতে তারুণ্যের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন” Logo স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বেনাপোলে দূর্বার তারুণ্য এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ Logo স্বাস্থ্য বাতায়ন নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পেইন Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার! Logo ইউজিসির গবেষণা প্রকল্প পেলেন কুবির দুই শিক্ষক




এবার পুরো মাদারীপুর লকডাউন, অপ্রয়োজনে বের হলেই শাস্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ ৩১ বার পড়া হয়েছে

মাদারিপুর প্রতিনিধি;  মাদারীপুরের শিবচর, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলা লকডাউনের পর এবার মাদারীপুর পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে, আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবা। ওষুধের ফার্মেসী ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টার পর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জরুরি সভায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এর আগে গত ১৯ মার্চ শিবচর উপজেলায় ঘোষণা করা হয় লকডাউন। পরে ১৩ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয় কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা। এ থেকেই তিনটি উপজেলায় বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম। একই সঙ্গে প্রবেশ ও বাহির পথ আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত।

এদিকে, মাদারীপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট ২৩ জন আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে শিবচর উপজেলায় ১৫ জন, সদরের সংখ্যা ৫, কালকিনি ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং রাজৈর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। প্রতিনিয়ত এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জেল-জরিমানার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার পুরো মাদারীপুর লকডাউন, অপ্রয়োজনে বের হলেই শাস্তি

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

মাদারিপুর প্রতিনিধি;  মাদারীপুরের শিবচর, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলা লকডাউনের পর এবার মাদারীপুর পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে, আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবা। ওষুধের ফার্মেসী ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টার পর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জরুরি সভায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এর আগে গত ১৯ মার্চ শিবচর উপজেলায় ঘোষণা করা হয় লকডাউন। পরে ১৩ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয় কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা। এ থেকেই তিনটি উপজেলায় বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম। একই সঙ্গে প্রবেশ ও বাহির পথ আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত।

এদিকে, মাদারীপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট ২৩ জন আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে শিবচর উপজেলায় ১৫ জন, সদরের সংখ্যা ৫, কালকিনি ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং রাজৈর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। প্রতিনিয়ত এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জেল-জরিমানার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।