ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী




মুম্বাইতে চিরনিদ্রায় শায়িত ইরফান খান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক | 

টানা দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে এই কঠিন সময়েই চিরনিদ্রায় গেলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। শেষবার কাছ থেকে দেখতে পেলেন না তাদের প্রিয় সহকর্মীকে। সাক্ষী থাকতে পারলেন না অভিনেতার শেষযাত্রায়। কারণ, করোনা রুখতে বর্তমানে গোটা দেশে জারি লকডাউন।

বুধবার বেলা তিনটার দিকে মুম্বাইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে দাফন করা হয় অভিনেতাকে। দাফনের সময় ছিলেন ইরফানের দুই ছেলে বাবিল এবং অয়ন। শেষকৃত্যের সময় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং পরিবারের অন্যান্যরা।

ইরফানের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পরিবারের সকলের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পরই কবর দেওয়া হয় তাকে। নিজের জীবনের এই যুদ্ধে তিনি বরাবরই শক্ত থেকেছেন, তাই এই কঠিন সময়ে আমাদেরও শক্ত থাকতে হবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতাল থেকেই ইরফানের মরদেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় ভারসোভা কবরস্থানে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কমেডিয়ান কপিল শর্মা এবং গায়ক মিকা সিং। এছাড়াও এই কঠিন সময়ে তার পরিবারের পাশে থাকতে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ যিনি ইরফানের সঙ্গে ‘হায়দার’ এবং ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে কাজ করেছেন। ছিলেন অভিনেতার দীর্ঘ দিনের বন্ধু তিঘমাংশু ধুলিয়াও।

বিনোদন জগতের বাইরেও যে তিনি তার কাজের প্রভাব ফেলেছিলেন তা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন শেষদিনেও। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। ইরফানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, ইরফান খানের মৃত্যু গোটা বিশ্বের চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের ক্ষতি। তাকে সারা বিশ্ব মনে রাখবে অত্যন্ত প্রতিভাশালী এক অভিনেতা হিসেবে। যে অভিনেতার অবাধ বিচরণ ছিল সর্বত্র। তার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।

উল্লেখ্য, গেল সোমবার অসুস্থ হওয়ার পরই মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইরফান খান-কে। জনপ্রিয় অভিনেতার মুখপাত্র জানান, কোলন ইনফেকশনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। মনের জোর এবং চিকিৎসকদের মিলিত প্রচেষ্টায় ইরফান শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রয়াত অভিনেতার মুখপাত্র। যদিও মুখপাত্রের আশা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কোকিলাবেন হাসপাতালের আইসিইউতে যখন ইরফান খানের চিকিৎসা চলছিল, সেই সময় হঠাৎ মুখ খোলেন অভিনেতা। মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে ইরফান বলেন, ‘আম্মা এসেছেন আমাকে নিয়ে যেতে’।

গত ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় ইরফান খানের মা সায়েদা বেগমের। ৯৫ বছর বয়সে চলে যান তিনি। মৃত্যুর পর মা-কে শেষবারের মতোও দেখতে পাননি ইরফান। মায়ের মৃত্যুর ৩ দিনের মধ্যেই শেষ হল ইরফান খানের লড়াই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুম্বাইতে চিরনিদ্রায় শায়িত ইরফান খান

আপডেট সময় : ০৮:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

বিনোদন ডেস্ক | 

টানা দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে এই কঠিন সময়েই চিরনিদ্রায় গেলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। শেষবার কাছ থেকে দেখতে পেলেন না তাদের প্রিয় সহকর্মীকে। সাক্ষী থাকতে পারলেন না অভিনেতার শেষযাত্রায়। কারণ, করোনা রুখতে বর্তমানে গোটা দেশে জারি লকডাউন।

বুধবার বেলা তিনটার দিকে মুম্বাইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে দাফন করা হয় অভিনেতাকে। দাফনের সময় ছিলেন ইরফানের দুই ছেলে বাবিল এবং অয়ন। শেষকৃত্যের সময় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং পরিবারের অন্যান্যরা।

ইরফানের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পরিবারের সকলের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পরই কবর দেওয়া হয় তাকে। নিজের জীবনের এই যুদ্ধে তিনি বরাবরই শক্ত থেকেছেন, তাই এই কঠিন সময়ে আমাদেরও শক্ত থাকতে হবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতাল থেকেই ইরফানের মরদেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় ভারসোভা কবরস্থানে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কমেডিয়ান কপিল শর্মা এবং গায়ক মিকা সিং। এছাড়াও এই কঠিন সময়ে তার পরিবারের পাশে থাকতে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ যিনি ইরফানের সঙ্গে ‘হায়দার’ এবং ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে কাজ করেছেন। ছিলেন অভিনেতার দীর্ঘ দিনের বন্ধু তিঘমাংশু ধুলিয়াও।

বিনোদন জগতের বাইরেও যে তিনি তার কাজের প্রভাব ফেলেছিলেন তা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন শেষদিনেও। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। ইরফানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, ইরফান খানের মৃত্যু গোটা বিশ্বের চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের ক্ষতি। তাকে সারা বিশ্ব মনে রাখবে অত্যন্ত প্রতিভাশালী এক অভিনেতা হিসেবে। যে অভিনেতার অবাধ বিচরণ ছিল সর্বত্র। তার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।

উল্লেখ্য, গেল সোমবার অসুস্থ হওয়ার পরই মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইরফান খান-কে। জনপ্রিয় অভিনেতার মুখপাত্র জানান, কোলন ইনফেকশনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। মনের জোর এবং চিকিৎসকদের মিলিত প্রচেষ্টায় ইরফান শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রয়াত অভিনেতার মুখপাত্র। যদিও মুখপাত্রের আশা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কোকিলাবেন হাসপাতালের আইসিইউতে যখন ইরফান খানের চিকিৎসা চলছিল, সেই সময় হঠাৎ মুখ খোলেন অভিনেতা। মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে ইরফান বলেন, ‘আম্মা এসেছেন আমাকে নিয়ে যেতে’।

গত ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় ইরফান খানের মা সায়েদা বেগমের। ৯৫ বছর বয়সে চলে যান তিনি। মৃত্যুর পর মা-কে শেষবারের মতোও দেখতে পাননি ইরফান। মায়ের মৃত্যুর ৩ দিনের মধ্যেই শেষ হল ইরফান খানের লড়াই।