ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




‘নায়িকা’ হতে যাওয়ার পথে উদ্ধার হলো তরুণী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা);

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মানব পাচারকারি দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাস টার্মিনাল থেকে এদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে এরা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে আয়েশা নামে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ভারত-বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জয়িতা মান্না ওরফে পিউ ওরফে খাদিজা (৩৫), সানন্দা বিশ্বাস (২৭) ও বিশ্বজিৎ (৩২) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামানের মেয়ে আয়েশাকে (১৭) পাচারের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী হয়ে ভারত নিয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খোসরু ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকীকে এমনটিই জানান। এ সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে বাস টার্মিনালে উল্লেখিত ৩ জনকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে।

আটক জয়ীতা ভারতের কোলকাতার বোসপুকুর পূর্ব পাড়ায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম সুমন্ত মান্না। সানন্দার বাবার নাম মহানন্দ বিশ্বাস। তিনি কোলকাতার এইচআইজিএল ১/১ বিরাটি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা এবং বিশ্বজিৎ ঈশ্বরদী স্কুলপাড়ার মৃত সুনিলের ছেলে।

ঈশ্বরদী থানায় উদ্ধারকৃত আয়েশা জানায়, প্রতিবেশী কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে সম্প্রতি জয়িতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। জয়িতা এক পর্যায়ে আয়েশাকে কোলকাতায় নায়িকা এবং মডেল বানানো এবং মোটা অংকের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার লোভ দেখায়। আয়েশা তার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে গোপনে তার সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে গত ২৮ মে টাঙ্গাইল থেকে রওনা দেয়। ঈশ্বরদী এসে বিশ্বজিতের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে তারা।

এদিকে রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ভিকটিম ও আসামিদের গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় প্রথমে জিডি এবং পরে মামলা করা হয়েছে। আয়েশাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘নায়িকা’ হতে যাওয়ার পথে উদ্ধার হলো তরুণী

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা);

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মানব পাচারকারি দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাস টার্মিনাল থেকে এদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে এরা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে আয়েশা নামে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ভারত-বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জয়িতা মান্না ওরফে পিউ ওরফে খাদিজা (৩৫), সানন্দা বিশ্বাস (২৭) ও বিশ্বজিৎ (৩২) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামানের মেয়ে আয়েশাকে (১৭) পাচারের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী হয়ে ভারত নিয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খোসরু ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকীকে এমনটিই জানান। এ সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে বাস টার্মিনালে উল্লেখিত ৩ জনকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে।

আটক জয়ীতা ভারতের কোলকাতার বোসপুকুর পূর্ব পাড়ায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম সুমন্ত মান্না। সানন্দার বাবার নাম মহানন্দ বিশ্বাস। তিনি কোলকাতার এইচআইজিএল ১/১ বিরাটি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা এবং বিশ্বজিৎ ঈশ্বরদী স্কুলপাড়ার মৃত সুনিলের ছেলে।

ঈশ্বরদী থানায় উদ্ধারকৃত আয়েশা জানায়, প্রতিবেশী কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে সম্প্রতি জয়িতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। জয়িতা এক পর্যায়ে আয়েশাকে কোলকাতায় নায়িকা এবং মডেল বানানো এবং মোটা অংকের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার লোভ দেখায়। আয়েশা তার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে গোপনে তার সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে গত ২৮ মে টাঙ্গাইল থেকে রওনা দেয়। ঈশ্বরদী এসে বিশ্বজিতের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে তারা।

এদিকে রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ভিকটিম ও আসামিদের গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় প্রথমে জিডি এবং পরে মামলা করা হয়েছে। আয়েশাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।