ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন ওসি মোয়াজ্জেম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।

রোববার বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এ বিষয়টি জানান।

পিবিআই প্রধান বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম থানায় নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াননি বলেও দাবি করেছেন। আমরা তদন্তে ভিডিও ধারণ ও তাকে জেরা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। এজাহারে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার আংশিক সত্যতাও পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দিয়েছি।’

বনজ কুমার জানান, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে থানায় জেরা করে ওই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনেই ভিডিও ধারণ করেছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পায়নি পিবিআই। ইতোমধ্যে পিবিআই আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার পর সজল নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়েছিলেন। তার মাধ্যমেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে এনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন ওসি মোয়াজ্জেম

আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।

রোববার বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এ বিষয়টি জানান।

পিবিআই প্রধান বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম থানায় নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াননি বলেও দাবি করেছেন। আমরা তদন্তে ভিডিও ধারণ ও তাকে জেরা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। এজাহারে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার আংশিক সত্যতাও পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দিয়েছি।’

বনজ কুমার জানান, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে থানায় জেরা করে ওই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনেই ভিডিও ধারণ করেছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পায়নি পিবিআই। ইতোমধ্যে পিবিআই আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার পর সজল নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়েছিলেন। তার মাধ্যমেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে এনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি।