ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন ওসি মোয়াজ্জেম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।

রোববার বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এ বিষয়টি জানান।

পিবিআই প্রধান বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম থানায় নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াননি বলেও দাবি করেছেন। আমরা তদন্তে ভিডিও ধারণ ও তাকে জেরা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। এজাহারে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার আংশিক সত্যতাও পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দিয়েছি।’

বনজ কুমার জানান, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে থানায় জেরা করে ওই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনেই ভিডিও ধারণ করেছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পায়নি পিবিআই। ইতোমধ্যে পিবিআই আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার পর সজল নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়েছিলেন। তার মাধ্যমেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে এনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন ওসি মোয়াজ্জেম

আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন।

রোববার বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এ বিষয়টি জানান।

পিবিআই প্রধান বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম থানায় নুসরাতের ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াননি বলেও দাবি করেছেন। আমরা তদন্তে ভিডিও ধারণ ও তাকে জেরা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। এজাহারে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার আংশিক সত্যতাও পেয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দিয়েছি।’

বনজ কুমার জানান, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে থানায় জেরা করে ওই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনেই ভিডিও ধারণ করেছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পায়নি পিবিআই। ইতোমধ্যে পিবিআই আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার পর সজল নামে এক ব্যক্তির কাছে দিয়েছিলেন। তার মাধ্যমেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে এনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি।