ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




চিকিৎসকের নির্যাতনে স্ত্রী লাইফ সাপের্টে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি;

যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের শিকার পাবনার আতাইকুলার গৃহবধু মাহমুদা আক্তার মিম (২৮) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৫ দিন ধরে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।

মিম পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আবদুল মমিন মণ্ডলের মেয়ে এবং একই থানার রাজইমণ্ডল গ্রামের ডা. পিন্টু প্রামাণিকের স্ত্রী।

গত ২১ মে রাতে স্বামী ডা. পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মিম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিমের স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে রাজাইমণ্ডল গ্রামের চকির প্রামানিকের মেয়ে মিমের বিয়ে হয় পল্লী চিকিৎসক পিন্টু প্রামাণিকের সঙ্গে।

বিয়ের পর যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে তাকে স্বামী পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল।
গত ২১ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মিমকে পিন্টুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম নির্যাতন করেন। মিমের বুক থেকে গলা, মুখ এবং মাথায় নির্যাতন করে থেঁতলে দেয়া হয়। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া শ্বাসনালী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ৫ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি।

তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।

এ ঘটনায় মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ৬ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।

আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক। পুলিশের একাধিক টিম তাদের ধরতে মাঠে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চিকিৎসকের নির্যাতনে স্ত্রী লাইফ সাপের্টে

আপডেট সময় : ১২:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

পাবনা প্রতিনিধি;

যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের শিকার পাবনার আতাইকুলার গৃহবধু মাহমুদা আক্তার মিম (২৮) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৫ দিন ধরে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।

মিম পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আবদুল মমিন মণ্ডলের মেয়ে এবং একই থানার রাজইমণ্ডল গ্রামের ডা. পিন্টু প্রামাণিকের স্ত্রী।

গত ২১ মে রাতে স্বামী ডা. পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মিম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিমের স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে রাজাইমণ্ডল গ্রামের চকির প্রামানিকের মেয়ে মিমের বিয়ে হয় পল্লী চিকিৎসক পিন্টু প্রামাণিকের সঙ্গে।

বিয়ের পর যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে তাকে স্বামী পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল।
গত ২১ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মিমকে পিন্টুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম নির্যাতন করেন। মিমের বুক থেকে গলা, মুখ এবং মাথায় নির্যাতন করে থেঁতলে দেয়া হয়। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া শ্বাসনালী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ৫ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি।

তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।

এ ঘটনায় মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ৬ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।

আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক। পুলিশের একাধিক টিম তাদের ধরতে মাঠে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।