ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




খুন হওয়ার ৮ মাস পর জীবিত আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি |

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলে মিলন হোসেন (১৮) অপহরণ করে হত্যা করেছে তারই চাচারা। এমন অভিযোগে নিজের তিন দেবরের বিরুদ্ধে গত বছর পাবনা সদর থানায় মামলা করেন মা মেরিনা খাতুন। খুন হওয়া সেই ছেলেই সোমবার ময়মনসিংহ থেকে আটক হবার পর বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। জানা গেছে সম্পত্তির লোভে দেবরদের ফাঁসাতে এমন নাটক সাজিয়েছিলেন মা-ছেলে।

দীর্ঘ পুলিশি তদন্তে প্রযুক্তির জালে ধরা পড়া মিলনকে মঙ্গলবার বিকেলে পাবনায় এনে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানায়, পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে মিলন হোসেন। হজরত আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও ছেলে মিলনের বিরোধ চলছিল দেবরদের সঙ্গে। এই বিরোধের জের ধরে মিলনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে বলে দেবর সাইদুল, আসলাম ও ইসলামকে আসামি করে গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মা মেরিনা খাতুন। মামলায় মেরিনা খাতুন উল্লেখ করেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার ছেলে মিলন হোসেন বাড়ি ফেরার পথে তার দেবর আসামি সাইদুল, আসলাম ও ইসলাম মিলনকে অপহরণ করে হত্যার পরে লাশ গুম করে।

আদালত পাবনা সদর থানাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিলে এসআই মহিউদ্দিনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে পুলিশ ঘটনা আঁচ করে ফেলে। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির জালে নিশ্চিত হয় জীবিত মিলনের অবস্থান। সোমবার রাতে পুলিশ ময়মনসিংহ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে মৃত সেজে আত্মগোপনে থাকা মিলনকে আটক করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিলন পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক একেএম কামাল উদ্দিনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হক জানান, গেল আট মাসে মিলন নিজেকে মৃত প্রমাণ করতে ময়মনসিংহ, যশোর, সিলেট, ঈশ্বরদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা করেছেন, পুলিশকে হয়রানি করেছেন। এসব বিষয় আদালতে তুলে ধরে মা-ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




খুন হওয়ার ৮ মাস পর জীবিত আটক

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

পাবনা প্রতিনিধি |

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলে মিলন হোসেন (১৮) অপহরণ করে হত্যা করেছে তারই চাচারা। এমন অভিযোগে নিজের তিন দেবরের বিরুদ্ধে গত বছর পাবনা সদর থানায় মামলা করেন মা মেরিনা খাতুন। খুন হওয়া সেই ছেলেই সোমবার ময়মনসিংহ থেকে আটক হবার পর বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। জানা গেছে সম্পত্তির লোভে দেবরদের ফাঁসাতে এমন নাটক সাজিয়েছিলেন মা-ছেলে।

দীর্ঘ পুলিশি তদন্তে প্রযুক্তির জালে ধরা পড়া মিলনকে মঙ্গলবার বিকেলে পাবনায় এনে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানায়, পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে মিলন হোসেন। হজরত আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও ছেলে মিলনের বিরোধ চলছিল দেবরদের সঙ্গে। এই বিরোধের জের ধরে মিলনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে বলে দেবর সাইদুল, আসলাম ও ইসলামকে আসামি করে গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মা মেরিনা খাতুন। মামলায় মেরিনা খাতুন উল্লেখ করেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার ছেলে মিলন হোসেন বাড়ি ফেরার পথে তার দেবর আসামি সাইদুল, আসলাম ও ইসলাম মিলনকে অপহরণ করে হত্যার পরে লাশ গুম করে।

আদালত পাবনা সদর থানাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিলে এসআই মহিউদ্দিনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে পুলিশ ঘটনা আঁচ করে ফেলে। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির জালে নিশ্চিত হয় জীবিত মিলনের অবস্থান। সোমবার রাতে পুলিশ ময়মনসিংহ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে মৃত সেজে আত্মগোপনে থাকা মিলনকে আটক করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিলন পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক একেএম কামাল উদ্দিনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল হক জানান, গেল আট মাসে মিলন নিজেকে মৃত প্রমাণ করতে ময়মনসিংহ, যশোর, সিলেট, ঈশ্বরদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা করেছেন, পুলিশকে হয়রানি করেছেন। এসব বিষয় আদালতে তুলে ধরে মা-ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হবে।