বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ

- আপডেট সময় : ০৫:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
শনিবার দুপুরের পর থেকে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে শরণখোলা ও মোংলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে আশ্রয় নেয়া শত শত পরিবার বাড়ি ফিরেছে। রাত থেকে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়া হচ্ছে অনেক এলাকায়।
তবে শরণখোলা উপজেলার ৩৫/৩ বেড়িবাঁধ দিয়ে শুক্রবার ও শনিবার জোয়ারের পানি ঢোকা অব্যাহত থাকায় সেখানকার তিন গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। নদীতে ভাটা হলে জোয়ারের পানির চাপ খানিকটা কমে যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার মো. নুরুল হুদা শনিবার বিকেলে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ায় বন্দরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামানো হয়েছে। তবে এখনও ৩ নম্বর সংকেত জারি রয়েছে। ছোট ছোট জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজও শুরু হয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে গেছে। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে বাগেরহাটে। শরণখোলায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । তার যত দ্রুত সম্ভব সেটি মেরামত করবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কেটে গেলেও বাগেরহাটের আকাশ জুড়ে মেঘ রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে গোবরদিয়া ডেমা এলাকার কিছু অংশ এখনও অন্ধকারে রয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কান্তি ঘোষ জানান, দুপুরের আগেই বাগেরহাটের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গোবরদিয়া ও ডেমা এলাকার বেশ কিছু এলাকায় তার ছিঁড়ে যাওয়ায় সেগুলো মেরামত করে বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে কাজ করা হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।