ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা: সেই ৫ পুলিশ সাসপেন্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি;
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাজারে এক মোবাইল ফোন রিচার্জ ও যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আউয়াল, রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আল আমিন। তারা গৌরীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার তাদের জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অভিযোগের বিষয়ে তাদের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তরা পুলিশ বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাজারে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার দোকানে মোবাইল রিচার্জ করতে যান সাদা পোশাকে পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ সময় কৌশলে দোকানে ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ী খোকন মিয়াকে আটকের চেষ্টা করেন তারা। পরে স্থানীয়রা বাধা দিলে পুলিশ খোকনকে মারধর করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি চ্যালঞ্জ করে দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখতে বলেন। সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ার ভয়ে পুলিশ সদস্যরা ক্যামেরার তার ছিঁড়ে ফেলে এবং মেমোরি কার্ড নিয়ে একজন পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় শ্রমিক লীগ অফিসে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আশ্বাস দিলে তাদের ছেড়ে দেয় এলাকাবাসী।

ঘটনাটি তদন্ত করে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী। তদন্তে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবারই তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা: সেই ৫ পুলিশ সাসপেন্ড

আপডেট সময় : ১১:৪০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি;
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাজারে এক মোবাইল ফোন রিচার্জ ও যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আউয়াল, রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আল আমিন। তারা গৌরীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার তাদের জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অভিযোগের বিষয়ে তাদের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তরা পুলিশ বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাজারে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার দোকানে মোবাইল রিচার্জ করতে যান সাদা পোশাকে পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ সময় কৌশলে দোকানে ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ী খোকন মিয়াকে আটকের চেষ্টা করেন তারা। পরে স্থানীয়রা বাধা দিলে পুলিশ খোকনকে মারধর করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি চ্যালঞ্জ করে দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখতে বলেন। সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ার ভয়ে পুলিশ সদস্যরা ক্যামেরার তার ছিঁড়ে ফেলে এবং মেমোরি কার্ড নিয়ে একজন পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় শ্রমিক লীগ অফিসে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আশ্বাস দিলে তাদের ছেড়ে দেয় এলাকাবাসী।

ঘটনাটি তদন্ত করে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী। তদন্তে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবারই তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে।