ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।