ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাহাড় কাটলে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের প্রভাবশালীদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেওয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

পাহাড় কাটাকে সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়া মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সকলেই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে সভায় মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ইটভাটা আছে। ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে সরকার নতুন আইন করছে। পরিবেশবান্ধব ইটভাটা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী অধিদফতরের জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীনসহ অনেকে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।