পা কেটে নেওয়া সেই বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০২:১৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে পা কেটে নেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি আবুল বাশার ও তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ৭ দিন পর তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলো পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ঢাকার সানারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কালা মিয়ার কাটা পা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রূপসদী গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আবুল বাশার (৩৮), তার বড় ভাই মনির হোসেন মেম্বার (৫৫) ও দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ ধন মিয়া (৫০)।
বাঞ্চারামপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা সপ্তাহব্যাপী প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান ও সোর্সের মাধ্যমে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে মামলার ৭নং আসামি শামীম কাটা পা নিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই কাটা পা উদ্ধার করতে পারবো।
তিনি জানান, আসামিদের শুক্রবার সকালে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাঞ্চারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি রূপসদী এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আবুল বাশারের সঙ্গে একই এলাকার কালা মিয়ার পূর্ব বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে আবুল বাশার ও তার দলের লোকজন কালা মিয়া ও ছেলে বিপ্লবকে বাড়ি থেকে ধরে এনে ব্যাপক মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। কালা মিয়া প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী একটা বাথরুমে লুকিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে বের করে উরুতে টেঁটাবিদ্ধ করে কুপিয়ে ডান পায়ের নিচের অংশ কেটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাঞ্চারামপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নড়ে চড়ে বসেন। এমনকি রূপসদী এলাকায় অলিখিত ক্যাম্প বসিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী চিরুনি অভিযান চালাতে থাকে।
এ ঘটনায় গত রোববার কালা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহসভাপতি আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।