নোয়াখালী বেগমগঞ্জে প্রবাসীর বাড়ীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, মারধর, লুটপাট!
- আপডেট সময় : ১০:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১ ১০০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়ীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে হামলায় আহত হয়েছেন ২ নারী সহ ৬ জন। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী রুপা বেগম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। অভিযোগ জমা দেয়ার ১৮ দিনেও আটক হয়নি কেউ। আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগি পরিবার।
ঘটনাটি ঘটে ৩ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বেগমগঞ্জ উপজেলা ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের মিরওয়ারিশ পুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন নতুন মহাজন বাড়ীতে।
ভুক্তভোগি মির ওয়ারিশ পুর গ্রামের বদিউজ্জামানের পুত্র প্রবাসী জহির আলম বলেন, প্রতিবেশী শাহজাহান সাজু প্রকাশ শাহজান মাষ্টার দির্ঘদিন জোর পূর্বক তাদের জায়গাজমি দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ঘটনারদিন ৩ আগস্ট জহির আলম তার স্ত্রী তাবুনা তাবান্নুম রুপা(৩০) সহ পরিবারের সদস্য পুকুরের মাছ ধরেন। মাছ ধরা শেষ হলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মির ওয়ারিশ পুর গ্রামের মৃত ছায়েদুল হকের পুত্র শাহ জাহান সাজু(৫৫), সাহাব উদ্দিন (৪৫), শাহ জাহান সাজুর পুত্র শাহাদাত হোসেন শাওন (২৮), টেন্ডল বাড়ির শাহ আলমের পুত্র জিদান(২৫), চৌধুরীর পুত্র আনাছ (২২), ছায়েদের পুত্র তানজির(২০) দিদার পিতা অজ্ঞাত সহ ২০/২৫ জনের একটি কিশোর গ্যাং তাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জহিল আলমের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং তার স্ত্রী রুপাকে আহত করে ২ মন মাছ ছিনিয়ে নেয়। তাদের শৌর চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার জহিরের ভাই খুরশিদ, নুরুজ্জামানের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৫), আব্দুল মান্নানের ছেলে মারুফ (১৮) এগিয়ে এলে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে হামলাকারিরা ঘরে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ ঘরে প্রবেশ করে ঘরের আলমিরা, শোকেস, সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণাঅরংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের বেগমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার দিন ৩ তারিখ রুপা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগিরা পরে সংবাদটি গণমাধ্যমে এলে ১৮ আগস্ট বেগমগঞ্জ থানা মামলাটি এজাহার ভুক্ত করেন। মামলা নং ৬৪৯৮/১৮/০৮/২১।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহ জাহান সাজুকে ফোন করলে তার মেয়ে ফোনটি রিসিভ করে বলেন, আমার বাবা বাড়ীতে নেই তিনি ঢাকায় আছেন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।