ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




চাঁদপুরের এক বাড়িতে ৬৩০ পরিবারের বসবাস!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

একটি বাড়ি একটি গ্রাম একটি ওয়ার্ড! চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও ইউয়িনের মেহারন দালাল বাড়ি। যেখানে বর্তমানে বসবাস করছেন সাত হাজার মানুষ। এ বাড়িতে বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্ম বসবাস করছে।বাড়িটিতে রয়েছে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, বাজার, দোকানপাঠ। বাড়িটি নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

বাড়িটির নামকরণ ইতিহাস সম্পর্কে বাড়িতে বসবাসরত বয়োজ্যেষ্ঠরা তেমন কিছু জানেন না। শুধু জানেন একসময় এখানে জমিদার বংশের লোক বসবাস করত। তাদের আশ্রয়ে সৃষ্টি হয় বাড়িটি। জমিদারদের দো’তলা দুটি ভবন এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটিতে। একটি ভবনের নাম দ্বারকাপুরি ও অপরটির নাম আম্বিকা ভবন। ভবনগুলো যথাক্রমে নির্মাণ করা হয় ১৩৩৫ ও ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে। জমিদারদের বংশধর দীপক দালালের মা বলেন দেড়’শ বছর আগে দ্বারিকানাথ দালাল, ও তার আত্মীয়-স্বজন পশ্চিম বঙ্গ থেকে এখানে আসেন। এখানে তারা দীর্ঘদিন ব্যবসা বাণিজ্য করেন। এখন আর জমিদারি নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যও নেই। মাছ ধরাই এদেও প্রধানতম পেশা। এ বাড়ির ভোটেই নির্বাচিত হয় সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচনে হয়ে দাঁড়ায় বড় ফেক্টর।

এই বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফসলি জমি বা বিল। ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বিলের মাঝখানে অবস্থিত বাড়িটি। কাছাকাছি নেই অন্য কোন বসতি। বর্ষায় বাড়ির চারপাশ পানিতে টইটুম্বুর থাকে। এই বাড়িতে যাওয়ার জন্য পূর্বে নৌকা ছিলো একমাত্র বাহন। এখন কাজিয়ারা বাজার থেকে একটি আধা পাঁকা রাস্তা আছে বাড়িতে যাওয়ার জন্য। নায়েরগাঁও বাজার থেকে পায়ে হেঁটে, রিকশা কিংবা অটো বাইকেও যাওয়া যায়। বাড়িতে প্রবেশের জন্য পূর্ব ও উত্তর দিক দিয়ে রয়েছে দু’টি মাটির রাস্তা । সব ঠিকঠাক থাকলেও রাস্তা ও বিশুদ্ধ পানি এবং পয়নিস্কাসনে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তারপরেও বাড়ির লোকজনের দাবি তারা ভালো আছে।

বাড়িতে চলাচলের রাস্তা খুব সরু। একটি ঘরের সাথে আরেকটি ঘর। মনে হবে কোন এক বস্তি । বাড়ির বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে বাড়ির ৬০ ভাগ শিশু পড়াশোনা করে। উপাসনার জন্য বাড়িতে রয়েছে ৮টি মন্দির। এছাড়াও ১টি স্বর্ণের দোকান, ৪টি সেলুন, ২টি ফার্নিচারের দোকান, ১টি মোবাইল সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান রয়েছে বাড়িটিতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, বাড়িতে সব কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন আমাদের একটি রাস্তা ও একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক। এ বিষয়ে খবর নিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্ত্।া
সট- মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চাঁদপুর।

এ বাড়ির সবাই ধর্মের অনুসারী হলে পূজা পার্বণে, আনন্দ উৎসবে, দুঃখ কষ্টে সবাই একসাথে থাকে ধর্মীয় উৎসবে মুসিলমরাও এসে উপভোগ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চাঁদপুরের এক বাড়িতে ৬৩০ পরিবারের বসবাস!

আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

একটি বাড়ি একটি গ্রাম একটি ওয়ার্ড! চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও ইউয়িনের মেহারন দালাল বাড়ি। যেখানে বর্তমানে বসবাস করছেন সাত হাজার মানুষ। এ বাড়িতে বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্ম বসবাস করছে।বাড়িটিতে রয়েছে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, বাজার, দোকানপাঠ। বাড়িটি নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

বাড়িটির নামকরণ ইতিহাস সম্পর্কে বাড়িতে বসবাসরত বয়োজ্যেষ্ঠরা তেমন কিছু জানেন না। শুধু জানেন একসময় এখানে জমিদার বংশের লোক বসবাস করত। তাদের আশ্রয়ে সৃষ্টি হয় বাড়িটি। জমিদারদের দো’তলা দুটি ভবন এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটিতে। একটি ভবনের নাম দ্বারকাপুরি ও অপরটির নাম আম্বিকা ভবন। ভবনগুলো যথাক্রমে নির্মাণ করা হয় ১৩৩৫ ও ১৩৪৪ বঙ্গাব্দে। জমিদারদের বংশধর দীপক দালালের মা বলেন দেড়’শ বছর আগে দ্বারিকানাথ দালাল, ও তার আত্মীয়-স্বজন পশ্চিম বঙ্গ থেকে এখানে আসেন। এখানে তারা দীর্ঘদিন ব্যবসা বাণিজ্য করেন। এখন আর জমিদারি নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যও নেই। মাছ ধরাই এদেও প্রধানতম পেশা। এ বাড়ির ভোটেই নির্বাচিত হয় সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচনে হয়ে দাঁড়ায় বড় ফেক্টর।

এই বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফসলি জমি বা বিল। ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বিলের মাঝখানে অবস্থিত বাড়িটি। কাছাকাছি নেই অন্য কোন বসতি। বর্ষায় বাড়ির চারপাশ পানিতে টইটুম্বুর থাকে। এই বাড়িতে যাওয়ার জন্য পূর্বে নৌকা ছিলো একমাত্র বাহন। এখন কাজিয়ারা বাজার থেকে একটি আধা পাঁকা রাস্তা আছে বাড়িতে যাওয়ার জন্য। নায়েরগাঁও বাজার থেকে পায়ে হেঁটে, রিকশা কিংবা অটো বাইকেও যাওয়া যায়। বাড়িতে প্রবেশের জন্য পূর্ব ও উত্তর দিক দিয়ে রয়েছে দু’টি মাটির রাস্তা । সব ঠিকঠাক থাকলেও রাস্তা ও বিশুদ্ধ পানি এবং পয়নিস্কাসনে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তারপরেও বাড়ির লোকজনের দাবি তারা ভালো আছে।

বাড়িতে চলাচলের রাস্তা খুব সরু। একটি ঘরের সাথে আরেকটি ঘর। মনে হবে কোন এক বস্তি । বাড়ির বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে বাড়ির ৬০ ভাগ শিশু পড়াশোনা করে। উপাসনার জন্য বাড়িতে রয়েছে ৮টি মন্দির। এছাড়াও ১টি স্বর্ণের দোকান, ৪টি সেলুন, ২টি ফার্নিচারের দোকান, ১টি মোবাইল সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান রয়েছে বাড়িটিতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, বাড়িতে সব কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন আমাদের একটি রাস্তা ও একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক। এ বিষয়ে খবর নিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্ত্।া
সট- মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চাঁদপুর।

এ বাড়ির সবাই ধর্মের অনুসারী হলে পূজা পার্বণে, আনন্দ উৎসবে, দুঃখ কষ্টে সবাই একসাথে থাকে ধর্মীয় উৎসবে মুসিলমরাও এসে উপভোগ করে।