ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বিরুলিয়ার গোলাপ চাষিদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা;

‘করোনা দুর্যোগে আমাদের কপাল পুড়েছে। বাগানের গোলাপ বাগানেই শুকিয়ে ঝরে পড়েছে। কত কষ্ট আর যত্ন নিয়ে গোলাপ চাষ করে ফুল ফোটাই। কিন্তু করোনার কারণে নিজের জমিতেই গোলাপ তুলতে পারিনি। বাগানের কাছাকাছি দুজনকে দেখলেই পুলিশ তাড়া দিত। তবে আগের তুলনায় পরিবেশ কিছুটা ভালো হয়েছে। এখন বাগানের গোলাপ অল্পস্বল্প বিক্রি হচ্ছে। শুধু সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছি।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট), বিকেল ৩টা। মাথার ওপর প্রখর রোদ। গোলাপের গ্রামখ্যাত সাভারের বিরুলিয়ার শ্যামপুর গ্রামের গোলাপ বাগানে গোলাপ তোলার সময় আনোয়ার হোসেন নামে এক গোলাপ চাষি এভাবেই কথাগুলো বলেন।

একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন বিরুলিয়ার গোলাপ চাষিরা। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন পর্যন্ত গোলাপ চাষিদের বিশাল ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি চলাকালে করোনা ঝুঁকির আশঙ্কায় ফুল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাগানে গোলাপ ফুটলেও গাছ থেকেই নষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমানে ব্যবসা কিছুটা চালু হয়েছে।

সরেজমিনে বিরুলিয়ার শ্যামপুরের গোলাপ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার আশপাশের উত্তরা, মিরপুর, বছিলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকা ও স্থলপথে অসংখ্য মানুষ গোলাপ গ্রামে আসছেন। বিশেষ করে ঈদের পরদিন থেকে টানা কয়েক দিন গোলাপপ্রেমীদের আগমন বেশি দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামপুর গ্রামে বাগানের পর বাগানে নানা রঙের গোলাপ ফুটে আছে। গোলাপ বাগান দেখতে আসা পর্যটকরা প্রখর রোদে ঘেমে গেলেও গোলাপ বাগান দেখে সবাই বিমোহিত। কেউ কেউ চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে গাছ থেকে নিজের হাতে গোলাপ ফুল কেটে নিচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ায় ফুটন্ত গোলাপ খুব একটা চোখে পড়েনি। বিকেল নাগাদ আধফোটা ফুলগুলো ফুটে যায়। বিকেলেই ফুল তোলা হয়। গোছা গোছা করে বেঁধে প্রস্তুত করা হয় হাটে নেয়ার জন্য।

জানা গেছে, করোনায় কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর বর্তমানে শ্যামপুরে প্রতিদিনই বসে গোলাপের হাট। চাষিরা ফুল কেটে নিয়ে যান হাটে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী ভিড় জমান এখানে। রাতে জমতে থাকে বেচাকেনা। ভোর থাকতে থাকতেই সেই ফুল পৌঁছে যাওয়া চাই রাজধানীর শাহবাগসহ সব পাইকারি দোকানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বিরুলিয়ার গোলাপ চাষিদের

আপডেট সময় : ১০:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা;

‘করোনা দুর্যোগে আমাদের কপাল পুড়েছে। বাগানের গোলাপ বাগানেই শুকিয়ে ঝরে পড়েছে। কত কষ্ট আর যত্ন নিয়ে গোলাপ চাষ করে ফুল ফোটাই। কিন্তু করোনার কারণে নিজের জমিতেই গোলাপ তুলতে পারিনি। বাগানের কাছাকাছি দুজনকে দেখলেই পুলিশ তাড়া দিত। তবে আগের তুলনায় পরিবেশ কিছুটা ভালো হয়েছে। এখন বাগানের গোলাপ অল্পস্বল্প বিক্রি হচ্ছে। শুধু সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছি।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট), বিকেল ৩টা। মাথার ওপর প্রখর রোদ। গোলাপের গ্রামখ্যাত সাভারের বিরুলিয়ার শ্যামপুর গ্রামের গোলাপ বাগানে গোলাপ তোলার সময় আনোয়ার হোসেন নামে এক গোলাপ চাষি এভাবেই কথাগুলো বলেন।

একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন বিরুলিয়ার গোলাপ চাষিরা। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন পর্যন্ত গোলাপ চাষিদের বিশাল ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি চলাকালে করোনা ঝুঁকির আশঙ্কায় ফুল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাগানে গোলাপ ফুটলেও গাছ থেকেই নষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমানে ব্যবসা কিছুটা চালু হয়েছে।

সরেজমিনে বিরুলিয়ার শ্যামপুরের গোলাপ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার আশপাশের উত্তরা, মিরপুর, বছিলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকা ও স্থলপথে অসংখ্য মানুষ গোলাপ গ্রামে আসছেন। বিশেষ করে ঈদের পরদিন থেকে টানা কয়েক দিন গোলাপপ্রেমীদের আগমন বেশি দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামপুর গ্রামে বাগানের পর বাগানে নানা রঙের গোলাপ ফুটে আছে। গোলাপ বাগান দেখতে আসা পর্যটকরা প্রখর রোদে ঘেমে গেলেও গোলাপ বাগান দেখে সবাই বিমোহিত। কেউ কেউ চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে গাছ থেকে নিজের হাতে গোলাপ ফুল কেটে নিচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ায় ফুটন্ত গোলাপ খুব একটা চোখে পড়েনি। বিকেল নাগাদ আধফোটা ফুলগুলো ফুটে যায়। বিকেলেই ফুল তোলা হয়। গোছা গোছা করে বেঁধে প্রস্তুত করা হয় হাটে নেয়ার জন্য।

জানা গেছে, করোনায় কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর বর্তমানে শ্যামপুরে প্রতিদিনই বসে গোলাপের হাট। চাষিরা ফুল কেটে নিয়ে যান হাটে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী ভিড় জমান এখানে। রাতে জমতে থাকে বেচাকেনা। ভোর থাকতে থাকতেই সেই ফুল পৌঁছে যাওয়া চাই রাজধানীর শাহবাগসহ সব পাইকারি দোকানে।