ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালানো সেই স্বামী গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ৯২ বার পড়া হয়েছে
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি;
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডিভোর্স দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়েছিল এমদাদুল হক নামের এক যুবক (২৬)। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নান্দাইল থেকো এমদাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুৃলিশ জানায়, অন্তত ৫ বছর আগে দত্তগ্রাম গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে লাকি আক্তারকে (২৩) প্রেম করে বিয়ে করেন তার চাচাতো ভাই এমদাদুল হক। এমদাদ দত্তগ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে। সে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। লাকি ও এমদাদের সংসারে দুই বছর পূর্বে মাঈশা নামের কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে লাকির ওপর নির্যাতন চালাত এমদাদ। এ কারণে ৫ মাস আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন লাকি। এরপর ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন লাকি। এর পর মেয়েকে কোলে নিয় আদর করায় ক্ষুব্ধ হয় এমদাদ। লাকির দেয়া ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে ক্ষুব্ধ থাকা এমদাদ লাকির বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে লাকির বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লাকির।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়এমদাদের বাবা আহাম্মদ আলী ও মা মমতাজ বেগমকে।
লাকিকে হত্যার পর এমদাদ আত্মগোপনে চলে যায়। তার সন্ধানে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দের নেতৃত্বে পুৃলিশ নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুরের একটি গ্রাম থেকে এমদাদকে গ্রেপ্তার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, তালাক মেনে নিতে না পেরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রধান অভিযুক্ত এমদাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।