ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




পুলিশ চলে গেলেই সব দোকান খোলা! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দোকান-পাট, মার্কেট বন্ধ রাখার কথা থাকলেও মুন্সীগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ নির্দেশ মানছেন না অনেক দোকানীরা।

সদর উপজেলার মুন্সীর হাট বাজার, রিকাবীবাজার, বিনোদপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দোকান-পাট খোলা রাখার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলেও জেলার বড় হাট-বাজারগুলোতে থাকছে প্রচুর ভিড়। মানছেন না কেউ সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনার ঝুঁকির আশংকা করা হচ্ছে। এসব স্থানে পুলিশ টহলে গেলে বা আসার খবরে দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার চলে গেলে দোকান খুলে দেয়া হয়।
সদরের মুন্সীরহাট এলাকায় হাটবারসহ সকালের চিত্র যেন নিত্য দিনের মতই। স্থানীয়রা জানান, মুন্সীরহাট বাজারের অধিকাংশ দোকানীরাই দোকান খুলে বসে থাকে। প্রতিদিনই অসংখ্য লোক সমাগম হয় এ হাট বাজারে। সকাল দিকে এ চাপটা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও হাটবারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
মুন্সীরহাট বাজার কমিটির সাধারণ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি জানান, মুন্সীরহাট বাজারে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতারাই আসেন। হাটে অনেকে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। হাটবারে দিন সমস্যাটা বেশি হচ্ছে । সবার মাস্ক পড়ার ব্যাপারে আমরা কঠোর হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি অস্থায়ী ভাবে কাঁচামালের দোকান ও মাছ বাজারের দোকান অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার। যাতে সামাজিক
দূরত্ব মেনে সবাই কেনাকাটা করতে পারে। এছাড়াও সরকারি নিয়ম মানতে প্রশাসনের লোকজন এসে সবাইকে বলে যাচ্ছেন।
মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, করোনার যে মহামারি চলছে তা অনেকে অনুধাবন করতে পারছেন না। ফলে হাট-বাজার গুলিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকে। লকডাউন যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশ যখন টহল দেয় তখন দোকান বন্ধ রাখে। আবার পুলিশ যখন চলে আসলে অনেকে দোকান খুলে ফেলে। পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশ চলে গেলেই সব দোকান খোলা! 

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দোকান-পাট, মার্কেট বন্ধ রাখার কথা থাকলেও মুন্সীগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ নির্দেশ মানছেন না অনেক দোকানীরা।

সদর উপজেলার মুন্সীর হাট বাজার, রিকাবীবাজার, বিনোদপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দোকান-পাট খোলা রাখার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলেও জেলার বড় হাট-বাজারগুলোতে থাকছে প্রচুর ভিড়। মানছেন না কেউ সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনার ঝুঁকির আশংকা করা হচ্ছে। এসব স্থানে পুলিশ টহলে গেলে বা আসার খবরে দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার চলে গেলে দোকান খুলে দেয়া হয়।
সদরের মুন্সীরহাট এলাকায় হাটবারসহ সকালের চিত্র যেন নিত্য দিনের মতই। স্থানীয়রা জানান, মুন্সীরহাট বাজারের অধিকাংশ দোকানীরাই দোকান খুলে বসে থাকে। প্রতিদিনই অসংখ্য লোক সমাগম হয় এ হাট বাজারে। সকাল দিকে এ চাপটা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও হাটবারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
মুন্সীরহাট বাজার কমিটির সাধারণ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি জানান, মুন্সীরহাট বাজারে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতারাই আসেন। হাটে অনেকে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। হাটবারে দিন সমস্যাটা বেশি হচ্ছে । সবার মাস্ক পড়ার ব্যাপারে আমরা কঠোর হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি অস্থায়ী ভাবে কাঁচামালের দোকান ও মাছ বাজারের দোকান অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার। যাতে সামাজিক
দূরত্ব মেনে সবাই কেনাকাটা করতে পারে। এছাড়াও সরকারি নিয়ম মানতে প্রশাসনের লোকজন এসে সবাইকে বলে যাচ্ছেন।
মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, করোনার যে মহামারি চলছে তা অনেকে অনুধাবন করতে পারছেন না। ফলে হাট-বাজার গুলিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকে। লকডাউন যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশ যখন টহল দেয় তখন দোকান বন্ধ রাখে। আবার পুলিশ যখন চলে আসলে অনেকে দোকান খুলে ফেলে। পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।