ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




অবরুদ্ধ সারা দেশ, আয় বন্ধে সড়ক ও নৌ খাতের ৯০ লাখ শ্রমিক বিপাকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি; 
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ গোটা দেশ। বন্ধ রয়েছে সড়ক ও নৌ পরিবহন খাতও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এই দুই খাতের প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে প্রতিদিন কয়েকশ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে পরিবহন খাতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই লোকসান গোটা দেশের অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এই খাতের নিয়োজিত অল্প আয়ের শ্রমিকেরা।

জানা গেছে, সড়ক ও নৌপরিবহন মিলিয়ে পরিবহন খাতে নিয়োজিত প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। তাদের ৯০ শতাংশই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের এখন দিন কাটাতে হচ্ছে বসে বসে। ফলে বন্ধ হয়েছে উপার্জন, কাউকে কাউকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এসব শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনো সমন্বিত উদ্যোগও নেই। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতের মালিকেরা শ্রমিকদের সহায়তার বিষয়ে আলোচনায় বসলেও উদ্যোগ নেই লঞ্চ মালিকদের।

এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, সড়কে ৪ লাখ গাড়ি, ৩ লাখ ট্রাক ও ১ লাখ বাস চলাচল করে। মালিকের আয়, শ্রমিকদের মজুরি সড়কে আরো অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে এই করোনা ভাইরাসের কারণে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কোনো উপায় আপাতত দেখছি না।

শ্রমিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে এ পরিবহন নেতা বলেন, আমার এনা ট্রান্সপোর্টের শ্রমিকদের ২০ লাখ টাকার সহযোগিতা এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। অন্য বাস মালিকেরাও আলাদা আলাদাভাবে শ্রমিকদের সহায়তা দিচ্ছেন। তবে এই দুর্দিনে সমন্বিতভাবে শ্রমিকদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। সরকারে কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরুদ্ধ পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া সড়ক ও নৌপরিবহন খাতের ৯০ লাখ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে বাস ও নৌমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি এবং ‘পারাবত’ লঞ্চের মালিক শহীদ ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায় বড়ো ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। এই প্রভাব ভবিষ্যতেও কাটিয়ে ওঠা মুশকিল হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মালিকানাধীন লঞ্চের সব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা শিগগিরই দিয়ে দেব। আপাতত শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। শহীদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা এরই মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক সহায়তা চেয়েছি।

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। তবে নৌপরিবহন মালিকেরা কিছু দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অবরুদ্ধ সারা দেশ, আয় বন্ধে সড়ক ও নৌ খাতের ৯০ লাখ শ্রমিক বিপাকে

আপডেট সময় : ১১:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি; 
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ গোটা দেশ। বন্ধ রয়েছে সড়ক ও নৌ পরিবহন খাতও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এই দুই খাতের প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে প্রতিদিন কয়েকশ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে পরিবহন খাতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই লোকসান গোটা দেশের অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এই খাতের নিয়োজিত অল্প আয়ের শ্রমিকেরা।

জানা গেছে, সড়ক ও নৌপরিবহন মিলিয়ে পরিবহন খাতে নিয়োজিত প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। তাদের ৯০ শতাংশই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের এখন দিন কাটাতে হচ্ছে বসে বসে। ফলে বন্ধ হয়েছে উপার্জন, কাউকে কাউকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এসব শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনো সমন্বিত উদ্যোগও নেই। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতের মালিকেরা শ্রমিকদের সহায়তার বিষয়ে আলোচনায় বসলেও উদ্যোগ নেই লঞ্চ মালিকদের।

এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, সড়কে ৪ লাখ গাড়ি, ৩ লাখ ট্রাক ও ১ লাখ বাস চলাচল করে। মালিকের আয়, শ্রমিকদের মজুরি সড়কে আরো অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে এই করোনা ভাইরাসের কারণে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কোনো উপায় আপাতত দেখছি না।

শ্রমিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে এ পরিবহন নেতা বলেন, আমার এনা ট্রান্সপোর্টের শ্রমিকদের ২০ লাখ টাকার সহযোগিতা এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। অন্য বাস মালিকেরাও আলাদা আলাদাভাবে শ্রমিকদের সহায়তা দিচ্ছেন। তবে এই দুর্দিনে সমন্বিতভাবে শ্রমিকদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। সরকারে কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরুদ্ধ পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া সড়ক ও নৌপরিবহন খাতের ৯০ লাখ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে বাস ও নৌমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি এবং ‘পারাবত’ লঞ্চের মালিক শহীদ ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায় বড়ো ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। এই প্রভাব ভবিষ্যতেও কাটিয়ে ওঠা মুশকিল হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মালিকানাধীন লঞ্চের সব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা শিগগিরই দিয়ে দেব। আপাতত শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। শহীদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা এরই মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক সহায়তা চেয়েছি।

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। তবে নৌপরিবহন মালিকেরা কিছু দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব।