ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১ Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র




শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি |

দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম কাঁপছে শীতে। গতকাল রোববার কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ছিল দেশের সর্বনিম্ন। আজ সোমবার ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের রুপ নিতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে শীতের প্রকোপ। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ।
গত তিনটি ও চলমান শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর ৫ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এখানকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। ব্যাহত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক কাজ।
তীব্র শীত ও অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রাম জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। এদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। চলতি বোরো মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে। এছাড়া আলু ও সবজি চাষেও প্রভাব পড়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার বোরো বীজতলা রয়েছে ৫০৯৪ হেক্টর এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর।
জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য ৬১ হাজার ৫১৪টি কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০

কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি |

দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম কাঁপছে শীতে। গতকাল রোববার কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ছিল দেশের সর্বনিম্ন। আজ সোমবার ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের রুপ নিতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে শীতের প্রকোপ। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ।
গত তিনটি ও চলমান শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর ৫ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এখানকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। ব্যাহত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক কাজ।
তীব্র শীত ও অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রাম জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। এদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। চলতি বোরো মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে। এছাড়া আলু ও সবজি চাষেও প্রভাব পড়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার বোরো বীজতলা রয়েছে ৫০৯৪ হেক্টর এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর।
জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য ৬১ হাজার ৫১৪টি কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।