ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন




বরিশালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি;  করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মধ্যেই বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে শতাধিক ক্রেতাসমাগম ঘটিয়ে খুচরা মূল্যে মদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অধিদফতরের কয়েকজন কর্মীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন।

অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রায়ই খুচরা মূল্যে লিটারপ্রতি ৫০০ টাকা দরে দেশি মদ বিক্রি হয়। যার সরকারি মূল্য ৮৮ টাকা। শনিবার (১৮ এপ্রিল) শতাধিক লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে ওই দেশি মদ বিক্রির খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন। এ সময় কামালকে মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন অধিদফতরের কর্মচারী মো. হাসিব, মো. রোকন ও মো. রাজিব। খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস এলাকায় মদ বিক্রির দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হনএ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওয়্যারলেস অপারেটর মো. হাসিব নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

এদিকে লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির খবরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এক কনটেইনার মদ ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া ১৮০ লিটার মদ অধিদফতরের একটি কক্ষে আটকে সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালত ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে থাকা মদের খুঁচরা ক্রেতাদের খুঁজে বের করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে দেশীয় মদ বিক্রির খবরে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতএদিকে অধিদফতরের বিভাগীয় প্রধান মো. হাফিজুর রহমান অফিস ভবনের চতুর্থতলায় বসবাস করলেও লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

তবে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সরাসরি শাস্তির আওতায় আনার ক্ষমতা তার নেই। তাই বিষয়টি ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

বরিশাল প্রতিনিধি;  করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মধ্যেই বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে শতাধিক ক্রেতাসমাগম ঘটিয়ে খুচরা মূল্যে মদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অধিদফতরের কয়েকজন কর্মীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন।

অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রায়ই খুচরা মূল্যে লিটারপ্রতি ৫০০ টাকা দরে দেশি মদ বিক্রি হয়। যার সরকারি মূল্য ৮৮ টাকা। শনিবার (১৮ এপ্রিল) শতাধিক লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে ওই দেশি মদ বিক্রির খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন। এ সময় কামালকে মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন অধিদফতরের কর্মচারী মো. হাসিব, মো. রোকন ও মো. রাজিব। খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস এলাকায় মদ বিক্রির দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হনএ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওয়্যারলেস অপারেটর মো. হাসিব নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান।

এদিকে লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির খবরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এক কনটেইনার মদ ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া ১৮০ লিটার মদ অধিদফতরের একটি কক্ষে আটকে সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালত ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে থাকা মদের খুঁচরা ক্রেতাদের খুঁজে বের করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ে দেশীয় মদ বিক্রির খবরে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতএদিকে অধিদফতরের বিভাগীয় প্রধান মো. হাফিজুর রহমান অফিস ভবনের চতুর্থতলায় বসবাস করলেও লোকসমাগম ঘটিয়ে মদ বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

তবে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সরাসরি শাস্তির আওতায় আনার ক্ষমতা তার নেই। তাই বিষয়টি ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।