ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভ্যানচালক শাহীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; 
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে যশোরের ভ্যানচালক কিশোর শাহীন মোড়ল (১৬)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাহীনের আশঙ্কাজনক অবস্থা কেটে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে শাহীনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।

শাহীনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের জায়গা শুকিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে খুলির ভাঙা হাড়ের ছোট ছোট অংশ মস্তিষ্কে আঘাত করেছিল। এগুলো অপসারণ করা হলেও ভাঙা হাড়ের জায়গা ফাঁকাই থেকে গেছে। তিন মাস পর সেখানে কৃত্রিম হাড় যুক্ত করা হবে।

ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন শাহীনের মা খাদিজা বেগম। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সরকার। গতকাল দুপুরে খাদিজা বেগমের বলেন, আগের থেকে ভালো আছে শাহীন। কথা বলছে একটু একটু। কিন্তু অনেক বিষয়ই ভুলে গেছে। হামলার ঘটনাও পুরোপুরি মনে করতে পারে না। দুই হাত একটু কাজ করলেও ডান পা এখনো পুরোপুরি অকেজো।

নিউরোসার্জারির চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। এ অবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।

গত ২৮ জুন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যান ছিনতাইয়ের সময় তার মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। শাহীনের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। আর্থিক অনটনের সংসারে নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ভ্যান চালাত সে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভ্যানচালক শাহীন

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; 
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে যশোরের ভ্যানচালক কিশোর শাহীন মোড়ল (১৬)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাহীনের আশঙ্কাজনক অবস্থা কেটে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে শাহীনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।

শাহীনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের জায়গা শুকিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে খুলির ভাঙা হাড়ের ছোট ছোট অংশ মস্তিষ্কে আঘাত করেছিল। এগুলো অপসারণ করা হলেও ভাঙা হাড়ের জায়গা ফাঁকাই থেকে গেছে। তিন মাস পর সেখানে কৃত্রিম হাড় যুক্ত করা হবে।

ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন শাহীনের মা খাদিজা বেগম। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সরকার। গতকাল দুপুরে খাদিজা বেগমের বলেন, আগের থেকে ভালো আছে শাহীন। কথা বলছে একটু একটু। কিন্তু অনেক বিষয়ই ভুলে গেছে। হামলার ঘটনাও পুরোপুরি মনে করতে পারে না। দুই হাত একটু কাজ করলেও ডান পা এখনো পুরোপুরি অকেজো।

নিউরোসার্জারির চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। এ অবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।

গত ২৮ জুন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যান ছিনতাইয়ের সময় তার মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। শাহীনের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। আর্থিক অনটনের সংসারে নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ভ্যান চালাত সে।