নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা;
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে যশোরের ভ্যানচালক কিশোর শাহীন মোড়ল (১৬)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাহীনের আশঙ্কাজনক অবস্থা কেটে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে শাহীনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
শাহীনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের জায়গা শুকিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে খুলির ভাঙা হাড়ের ছোট ছোট অংশ মস্তিষ্কে আঘাত করেছিল। এগুলো অপসারণ করা হলেও ভাঙা হাড়ের জায়গা ফাঁকাই থেকে গেছে। তিন মাস পর সেখানে কৃত্রিম হাড় যুক্ত করা হবে।
ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন শাহীনের মা খাদিজা বেগম। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সরকার। গতকাল দুপুরে খাদিজা বেগমের বলেন, আগের থেকে ভালো আছে শাহীন। কথা বলছে একটু একটু। কিন্তু অনেক বিষয়ই ভুলে গেছে। হামলার ঘটনাও পুরোপুরি মনে করতে পারে না। দুই হাত একটু কাজ করলেও ডান পা এখনো পুরোপুরি অকেজো।
নিউরোসার্জারির চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। এ অবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।
গত ২৮ জুন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যান ছিনতাইয়ের সময় তার মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। শাহীনের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। আর্থিক অনটনের সংসারে নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ভ্যান চালাত সে।