ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভ্যানচালক শাহীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; 
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে যশোরের ভ্যানচালক কিশোর শাহীন মোড়ল (১৬)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাহীনের আশঙ্কাজনক অবস্থা কেটে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে শাহীনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।

শাহীনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের জায়গা শুকিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে খুলির ভাঙা হাড়ের ছোট ছোট অংশ মস্তিষ্কে আঘাত করেছিল। এগুলো অপসারণ করা হলেও ভাঙা হাড়ের জায়গা ফাঁকাই থেকে গেছে। তিন মাস পর সেখানে কৃত্রিম হাড় যুক্ত করা হবে।

ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন শাহীনের মা খাদিজা বেগম। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সরকার। গতকাল দুপুরে খাদিজা বেগমের বলেন, আগের থেকে ভালো আছে শাহীন। কথা বলছে একটু একটু। কিন্তু অনেক বিষয়ই ভুলে গেছে। হামলার ঘটনাও পুরোপুরি মনে করতে পারে না। দুই হাত একটু কাজ করলেও ডান পা এখনো পুরোপুরি অকেজো।

নিউরোসার্জারির চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। এ অবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।

গত ২৮ জুন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যান ছিনতাইয়ের সময় তার মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। শাহীনের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। আর্থিক অনটনের সংসারে নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ভ্যান চালাত সে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভ্যানচালক শাহীন

আপডেট সময় : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা; 
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে যশোরের ভ্যানচালক কিশোর শাহীন মোড়ল (১৬)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শাহীনের আশঙ্কাজনক অবস্থা কেটে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে শাহীনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।

শাহীনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের জায়গা শুকিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতের কারণে খুলির ভাঙা হাড়ের ছোট ছোট অংশ মস্তিষ্কে আঘাত করেছিল। এগুলো অপসারণ করা হলেও ভাঙা হাড়ের জায়গা ফাঁকাই থেকে গেছে। তিন মাস পর সেখানে কৃত্রিম হাড় যুক্ত করা হবে।

ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন শাহীনের মা খাদিজা বেগম। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে সরকার। গতকাল দুপুরে খাদিজা বেগমের বলেন, আগের থেকে ভালো আছে শাহীন। কথা বলছে একটু একটু। কিন্তু অনেক বিষয়ই ভুলে গেছে। হামলার ঘটনাও পুরোপুরি মনে করতে পারে না। দুই হাত একটু কাজ করলেও ডান পা এখনো পুরোপুরি অকেজো।

নিউরোসার্জারির চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। এ অবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিশলে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।

গত ২৮ জুন সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা শাহীনের ভ্যান ছিনতাইয়ের সময় তার মাথায় আঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। শাহীনের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। গোলাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। আর্থিক অনটনের সংসারে নিজের ও ছোট দুই বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ভ্যান চালাত সে।