ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১) Logo টাঙ্গাইল-৩ আসনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে মাইনুল ইসলাম Logo স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলমের উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭ জন জাতীয় বার্নে Logo সেনাবাহিনী ও আনসারে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণায় জড়িত চক্রের ৬ জন গ্রেপ্তার Logo ময়মনসিংহে সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রমাণের পরেও বহাল তবিয়তে  Logo গণপূর্তে কায়কোবাদ-তামজীদ সিন্ডিকেট: দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় দুই প্রকৌশলী

খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১০০৮ বার পড়া হয়েছে

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হাসনাবাদ চরা এলাকার আল-কারিম কওমী মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় ইমাম আনোয়ারুল করিমের বিরুদ্ধে নিজের মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগের পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলেও, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

খুলনা ইমাম পরিষদের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে আলোচনা চলাকালে আনোয়ারুল করিম ঘটনাটি স্বীকারও করেছেন। তবুও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

 

এদিকে ওই ধর্মীয় শিক্ষকের সাবেক কর্মস্থল বিসমিল্লাহ নগর মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতীতেও তার বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রতিবারই প্রভাব খাটিয়ে তিনি দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, অভিভাবকের ফোন নম্বরে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।

 

এলাকাবাসীর দাবি, শিশুদের নৈতিক ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় এমন চরিত্রহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আড়ালে শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধ পুরো সমাজের জন্য কলঙ্ক। প্রশাসনের প্রতি তাদের আহ্বান—ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

 

বিস্তারিত আসছে…

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা

আপডেট সময় : ১২:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হাসনাবাদ চরা এলাকার আল-কারিম কওমী মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় ইমাম আনোয়ারুল করিমের বিরুদ্ধে নিজের মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগের পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলেও, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

খুলনা ইমাম পরিষদের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে আলোচনা চলাকালে আনোয়ারুল করিম ঘটনাটি স্বীকারও করেছেন। তবুও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

 

এদিকে ওই ধর্মীয় শিক্ষকের সাবেক কর্মস্থল বিসমিল্লাহ নগর মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতীতেও তার বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রতিবারই প্রভাব খাটিয়ে তিনি দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, অভিভাবকের ফোন নম্বরে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।

 

এলাকাবাসীর দাবি, শিশুদের নৈতিক ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় এমন চরিত্রহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আড়ালে শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধ পুরো সমাজের জন্য কলঙ্ক। প্রশাসনের প্রতি তাদের আহ্বান—ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

 

বিস্তারিত আসছে…