ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ছেলের ধর্ষনের লজ্জায় বাবার আত্মহত্যা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ১৯ জুন শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নাঈম ইসলাম। এ ঘটনায় লজ্জা ও অপমানে নাঈমের বাবা বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বসু মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বসু মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বসু মিয়া। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে, শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন ভোররাতে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সে ওই গ্রামে পালিয়ে ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্না আক্তার ভগ্নিপতি নাঈমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৯ জুন রাতে নাঈম তার স্ত্রী-সন্তানকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করে তামান্নাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তামান্না চিৎকার শুরু করলে নাঈম শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে নাঈম পালিয়ে অষ্টগ্রামে তার মামাবাড়ি চলে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ছেলের ধর্ষনের লজ্জায় বাবার আত্মহত্যা!

আপডেট সময় : ১২:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ১৯ জুন শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নাঈম ইসলাম। এ ঘটনায় লজ্জা ও অপমানে নাঈমের বাবা বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বসু মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বসু মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বসু মিয়া। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে, শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন ভোররাতে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সে ওই গ্রামে পালিয়ে ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্না আক্তার ভগ্নিপতি নাঈমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৯ জুন রাতে নাঈম তার স্ত্রী-সন্তানকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করে তামান্নাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তামান্না চিৎকার শুরু করলে নাঈম শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে নাঈম পালিয়ে অষ্টগ্রামে তার মামাবাড়ি চলে যায়।