ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




জিন তাড়ানোর নামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় রুহুল আমিন (৩৫) নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৩জুন) উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়কা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার ওই ছাত্রীর মা সখীপুর থানায় মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন। গ্রেফতার রুহুল আমিন গত এক বছর যাবৎ সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন পদে চাকরি করছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন রুহুল আমিন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দুইদিন ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে সবার সামনেই মাথায় ঝাড়-ফুঁক করেন মুয়াজ্জিন রুহুল আমিন। তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাড়িতে এসে ওই ছাত্রীর মাকে বলেন ওকে জিনে ধরেছে। জিন ছাড়াতে বাটিতে সরিষার তেল নিয়ে মুয়াজ্জিন ওই ছাত্রীকে একা একটা ঘরে নিয়ে যান। তার অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে। এ সময় ঘরের বাইরে থাকা লোকজন ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে মুয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকার মাতব্বররা সালিশি বৈঠক করে মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে এলাকা ছাড়া করেন।

মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, মুয়াজ্জিনকে চাকরি দেয়ার সময় তার ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেয়া হয়নি। তবে তার দেয়া তথ্যে জানা গেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় তার বাড়ি। এ ছাড়া আমাদের কাছে তার পূর্ণ কোনো ঠিকানা নেই।

সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জিন তাড়ানোর নামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় রুহুল আমিন (৩৫) নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৩জুন) উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়কা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার ওই ছাত্রীর মা সখীপুর থানায় মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন। গ্রেফতার রুহুল আমিন গত এক বছর যাবৎ সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন পদে চাকরি করছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন রুহুল আমিন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দুইদিন ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে সবার সামনেই মাথায় ঝাড়-ফুঁক করেন মুয়াজ্জিন রুহুল আমিন। তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাড়িতে এসে ওই ছাত্রীর মাকে বলেন ওকে জিনে ধরেছে। জিন ছাড়াতে বাটিতে সরিষার তেল নিয়ে মুয়াজ্জিন ওই ছাত্রীকে একা একটা ঘরে নিয়ে যান। তার অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে। এ সময় ঘরের বাইরে থাকা লোকজন ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে মুয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকার মাতব্বররা সালিশি বৈঠক করে মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে এলাকা ছাড়া করেন।

মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, মুয়াজ্জিনকে চাকরি দেয়ার সময় তার ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেয়া হয়নি। তবে তার দেয়া তথ্যে জানা গেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় তার বাড়ি। এ ছাড়া আমাদের কাছে তার পূর্ণ কোনো ঠিকানা নেই।

সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।