ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




অভিনব কায়দায় সিএনজি ছিনতাই চক্রের মূলহোতা জামাই-শ্বশুর! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ হাসান রেহানঃ

যাত্রী বেশে চালককে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই করত একটি চক্র। পরে সিএনজি মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত। চক্রটির মূলহোতা ছিল আপন জামাই ও শ্বশুর।

রবিবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম, ডেমরা এবং দক্ষিণখান এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন- হারুন অর রশিদ, রুহুল আমিন, জামাল হোসেন, সোহেল খাঁ, ওয়ালী উল্লাহ জয় ও রশিদ খান। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ‘চক্রটি বেশ কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে রাজধানীতে সিএনজি ছিনতাই করত। তিনটি উপায়ে তাদের এই কাজ চলত। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা যাত্রী সেজে সিএনজি ভাড়া করত। পরে নির্জন জায়গায় গিয়ে চালককে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দিত এবং তাদের নির্ধারিত গ্যারেজে সিএনজি নিয়ে রেখে দিত।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আবার অনেক সময় সিএনজি যেখানে পার্কিং করে রাখা হতো সেখানে ছদ্মবেশে চা বা পানি বিক্রি করা হয়। এসময় চক্রের বাকি সদস্যরা যাত্রী বেশে তাদের সিএনজিতে ওঠে। পরে রাস্তায় সিএনজি চালক নেশায় অজ্ঞান হয়ে গেলে চালককে ফেলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যেত। দেখা গেছে অনেক সময় এই চক্রের সদস্যরাও সিএনজি চালক সেজে মালিকের কাছ থেকে সিএনজি ভাড়া নিত। পরে সিএনজি ছিনতাই হয়ে বলে মালিককে ফোনে জানাতো।

চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, ‘সিএনজি ছিনতাইয়ের পর সেগুলো টাকার বিনিময়ে ফেরত দিত। এজন্য চক্রের অন্য সদস্যরা সিএনজি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করত। উভয়ের মধ্যে মধ্যস্ততার পর ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রফাদফা হতো। একটি সিএনজি ছিনতাই করতে পারলে চক্রের সদস্যরা ভাগে দশ হাজার করে টাকা পেত।’

র‌্যাব জানায়, চক্রের মূল হোতা ওয়ালী উল্লাহ জয়। তিনি তার শ্বশুর ছোট শহীদের হাত ধরে এই চক্রে এসেছেন। বর্তমানে ছোট শহীদ জেলে থাকায় তিনি গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অভিনব কায়দায় সিএনজি ছিনতাই চক্রের মূলহোতা জামাই-শ্বশুর! 

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

জাহিদ হাসান রেহানঃ

যাত্রী বেশে চালককে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই করত একটি চক্র। পরে সিএনজি মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত। চক্রটির মূলহোতা ছিল আপন জামাই ও শ্বশুর।

রবিবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম, ডেমরা এবং দক্ষিণখান এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন- হারুন অর রশিদ, রুহুল আমিন, জামাল হোসেন, সোহেল খাঁ, ওয়ালী উল্লাহ জয় ও রশিদ খান। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ‘চক্রটি বেশ কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে রাজধানীতে সিএনজি ছিনতাই করত। তিনটি উপায়ে তাদের এই কাজ চলত। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা যাত্রী সেজে সিএনজি ভাড়া করত। পরে নির্জন জায়গায় গিয়ে চালককে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দিত এবং তাদের নির্ধারিত গ্যারেজে সিএনজি নিয়ে রেখে দিত।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আবার অনেক সময় সিএনজি যেখানে পার্কিং করে রাখা হতো সেখানে ছদ্মবেশে চা বা পানি বিক্রি করা হয়। এসময় চক্রের বাকি সদস্যরা যাত্রী বেশে তাদের সিএনজিতে ওঠে। পরে রাস্তায় সিএনজি চালক নেশায় অজ্ঞান হয়ে গেলে চালককে ফেলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যেত। দেখা গেছে অনেক সময় এই চক্রের সদস্যরাও সিএনজি চালক সেজে মালিকের কাছ থেকে সিএনজি ভাড়া নিত। পরে সিএনজি ছিনতাই হয়ে বলে মালিককে ফোনে জানাতো।

চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, ‘সিএনজি ছিনতাইয়ের পর সেগুলো টাকার বিনিময়ে ফেরত দিত। এজন্য চক্রের অন্য সদস্যরা সিএনজি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করত। উভয়ের মধ্যে মধ্যস্ততার পর ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রফাদফা হতো। একটি সিএনজি ছিনতাই করতে পারলে চক্রের সদস্যরা ভাগে দশ হাজার করে টাকা পেত।’

র‌্যাব জানায়, চক্রের মূল হোতা ওয়ালী উল্লাহ জয়। তিনি তার শ্বশুর ছোট শহীদের হাত ধরে এই চক্রে এসেছেন। বর্তমানে ছোট শহীদ জেলে থাকায় তিনি গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।