ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ!




সেমিনারে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী-‘নির্বাচনী অভিযোগের স্বচ্ছ সমাধান দরকার’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদক |
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলোর স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।

রবিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা সফররত ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানির আমারি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘সুশাসন ও উন্নয়ন: আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মার্ক ফিল্ডের এটি তৃতীয় সফর। সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দেশ শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায়। সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান থাকবে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সুশাসনের উন্নয়নের বাংলাদেশে শক্তিশালী সুশীল সমাজ এবং অবাধ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম চায় যুক্তরাজ্য। সুশাসনের উন্নয়ন না হলে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছে, তা টেকসই হবে না।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ডিসেম্বরে যে সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তা কাঙ্ক্ষিত মান অনুযায়ী হয়নি। এ জন্য নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ আছে, তার গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ভালো গণতন্ত্রে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার। তা না হলে ভোটাররা যা চায় তা অর্জনের ভিত্তিপথ অবলম্বনের ঝুঁকি থাকে, যা স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। সরকারের জবাবদিহিতা ও বিকল্প ভাবনার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মার্ক ফিল্ড বলেন, এখন দুই দেশেরই পরিবর্তনের সময়। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে বিশ্বের নতুন সুযোগে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক শক্তিশালী। কারণ এখানকার কয়েক লাখ মানুষের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় ৬ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। যুক্তরাজ্য তাদের অবদান স্বীকার করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নানামুখী সম্পর্ক রয়েছে। ফলে বেক্সিট হোক বা না হোক বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

বিট্রিশ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, গত ডিসেম্বরে সরকার সর্বজন গ্রহণযোগ্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান অত্যন্ত কঠিন কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলকে নানাভাবে চাপে রেখেছে। এর মধ্যেও সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে, যা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সেমিনারে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী-‘নির্বাচনী অভিযোগের স্বচ্ছ সমাধান দরকার’

আপডেট সময় : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০১৯

যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদক |
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলোর স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।

রবিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা সফররত ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানির আমারি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘সুশাসন ও উন্নয়ন: আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মার্ক ফিল্ডের এটি তৃতীয় সফর। সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দেশ শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায়। সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান থাকবে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সুশাসনের উন্নয়নের বাংলাদেশে শক্তিশালী সুশীল সমাজ এবং অবাধ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম চায় যুক্তরাজ্য। সুশাসনের উন্নয়ন না হলে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছে, তা টেকসই হবে না।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ডিসেম্বরে যে সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তা কাঙ্ক্ষিত মান অনুযায়ী হয়নি। এ জন্য নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ আছে, তার গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ভালো গণতন্ত্রে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা দরকার। তা না হলে ভোটাররা যা চায় তা অর্জনের ভিত্তিপথ অবলম্বনের ঝুঁকি থাকে, যা স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। সরকারের জবাবদিহিতা ও বিকল্প ভাবনার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মার্ক ফিল্ড বলেন, এখন দুই দেশেরই পরিবর্তনের সময়। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে বিশ্বের নতুন সুযোগে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক শক্তিশালী। কারণ এখানকার কয়েক লাখ মানুষের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় ৬ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। যুক্তরাজ্য তাদের অবদান স্বীকার করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নানামুখী সম্পর্ক রয়েছে। ফলে বেক্সিট হোক বা না হোক বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

বিট্রিশ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, গত ডিসেম্বরে সরকার সর্বজন গ্রহণযোগ্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান অত্যন্ত কঠিন কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারি দলকে নানাভাবে চাপে রেখেছে। এর মধ্যেও সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে, যা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল।