ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




ফায়ার সার্ভিসে বদলি সিন্ডিকেটের মানিকজোড়া জাকির ও আল আমিন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ২০২ বার পড়া হয়েছে

কলিম হোসেন:

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে তারা দুইজন বদলি বাণিজ্য শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মানিকজোড়া। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে তাদের বদলি বাণিজ্য। সামান্য পদে চাকুরী করেও এই সিন্ডিকেট বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। বদলি বাণিজ্যে মাধ্যমে আয়ের বড় একটি অংশ প্রশাসন অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এমন মানিকজোড়া দূর্নীতিবাজ হলেন প্রশাসন শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ জাকির হোসেন ও অফিস সহকারী মোঃ আল আমিন।

সুত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি ফায়ারম্যান বদলিতে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় এই সিন্ডিকেটকে। ঘুষ না দিলে অর্ডার তো হয়না এমনকি বদলির আবেদন উধাও করে দেন তারা। ফায়ার সার্ভিসে প্রশাসন অর্থ বিভাগের যে কর্মকর্তাই আসুক না কেন বদলি সিন্ডিকেটের দুর্নীতিবাজ চতুর জাকির ও আলামিন তাদের ঘুষবানিজ্য প্রায় এক যুগ ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে। এই মনিক জোড়া বদলী ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে তারা সকল ফায়ারম্যানদের নিকট আতঙ্ক।

সিন্ডিকেটের একজন আল আমিন
সিন্ডিকেটের একজন আল আমিন

ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই বদলি সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে জাকির সকলের কাছে পরিচিত। কোন স্টেশনে ফায়ারম্যানের পর শূন্য রয়েছে কোন ফায়ারম্যান নিজের সুবিধামতো বদলির চেষ্টা চালাচ্ছে সব কিছুই তার নখ দর্পণ। অনেকসময় নিজের থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে ফায়ারম্যানদের নিকট ফোন করে তাদের সুবিধা মতো বদলির অফার করেন জাকির। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই তার ঘুষের দোকানের বেচাকেনা বেড়ে যায়।

বুদ্ধি বাণিজ্যের এই সিন্ডিকেটের বিষয় প্রায় এক ডজনেরও বেশি ফায়ার ম্যানের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে আঁকড়ে থাকা দুর্নীতিবাজ জাকির ও আলামিন এর ঘুষের থাবা থেকে বাঁচতে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী তাদের সকলের।

এ বিষয়ে জানতে প্রশাসন অর্থ বিভাগের ডিরেক্টর ওয়াহিদুল ইসলামের মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ফায়ার সার্ভিসে বদলি সিন্ডিকেটের মানিকজোড়া জাকির ও আল আমিন!

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

কলিম হোসেন:

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে তারা দুইজন বদলি বাণিজ্য শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মানিকজোড়া। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে তাদের বদলি বাণিজ্য। সামান্য পদে চাকুরী করেও এই সিন্ডিকেট বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। বদলি বাণিজ্যে মাধ্যমে আয়ের বড় একটি অংশ প্রশাসন অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এমন মানিকজোড়া দূর্নীতিবাজ হলেন প্রশাসন শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ জাকির হোসেন ও অফিস সহকারী মোঃ আল আমিন।

সুত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি ফায়ারম্যান বদলিতে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় এই সিন্ডিকেটকে। ঘুষ না দিলে অর্ডার তো হয়না এমনকি বদলির আবেদন উধাও করে দেন তারা। ফায়ার সার্ভিসে প্রশাসন অর্থ বিভাগের যে কর্মকর্তাই আসুক না কেন বদলি সিন্ডিকেটের দুর্নীতিবাজ চতুর জাকির ও আলামিন তাদের ঘুষবানিজ্য প্রায় এক যুগ ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে। এই মনিক জোড়া বদলী ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে তারা সকল ফায়ারম্যানদের নিকট আতঙ্ক।

সিন্ডিকেটের একজন আল আমিন
সিন্ডিকেটের একজন আল আমিন

ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই বদলি সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে জাকির সকলের কাছে পরিচিত। কোন স্টেশনে ফায়ারম্যানের পর শূন্য রয়েছে কোন ফায়ারম্যান নিজের সুবিধামতো বদলির চেষ্টা চালাচ্ছে সব কিছুই তার নখ দর্পণ। অনেকসময় নিজের থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে ফায়ারম্যানদের নিকট ফোন করে তাদের সুবিধা মতো বদলির অফার করেন জাকির। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই তার ঘুষের দোকানের বেচাকেনা বেড়ে যায়।

বুদ্ধি বাণিজ্যের এই সিন্ডিকেটের বিষয় প্রায় এক ডজনেরও বেশি ফায়ার ম্যানের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে আঁকড়ে থাকা দুর্নীতিবাজ জাকির ও আলামিন এর ঘুষের থাবা থেকে বাঁচতে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী তাদের সকলের।

এ বিষয়ে জানতে প্রশাসন অর্থ বিভাগের ডিরেক্টর ওয়াহিদুল ইসলামের মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Loading