ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




রাজউকের ৩০ হাজার নথি গায়েব: অভিযোগ সদস্য তন্ময় দাসের বিরুদ্ধে!

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক সদস্য যুগ্ম সচিব তন্ময় দাসের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার নথি গায়েব ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজউক এর দেবাশীষ সাহা নামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা।

তথ্য বলছে, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) যুগ্ম সচিব তন্ময় দাস রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখায় তার নিয়োজিত ২/৩ জন দালাল অফিসারদের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ১০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি তার স্ত্রী এবং শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়দের নামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়। রাজউকের ৩০,০০০ হাজার নথি গায়েবের মূল হোতা তন্ময় দাস টেকনো হেভেনের (রাজউকের সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানীর) যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পন্থায় অর্জন করেছেন। তার অধীনস্থ অথরাইজড অফিসার সহকারী অথরাইজড অফিসার এমনকি ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে পোস্টিংসহ নক্সা জালিয়াতির মত বড় বড় কাজ তিনি তার নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে করিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে। এলাকায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি (তন্ময় দাস) বলে থাকেন, জনপ্রশাসন সচিব ও এপিডি আব্দুর সবুর , যতদিন রাজউকে থাকবো কামিয়ে যাবো, রাজউকে পোস্টিং নিয়ে এসেছি কামানোর জন্য। মাননীয় চেয়ারম্যান তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী যাচাই করলে বেরিয়ে আসবে শত শত কোটি। টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

অভিযোগকারী উক্ত অভিযোগে দাবি করেন, দেশের স্বার্থে ও রাজউকের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সম্পদের বিবরণী তদন্তের ব্যবস্থা করলে আমরা রাজউকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

অভিযোগের বিষয় খোঁজ খবর নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা (নাম অনিচ্ছুক) বলেন বর্তমানে রাজউকের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের পৃষ্ঠপোষক সিন্ডিকেটের একজন তন্ময় দাস। তার বিরুদ্ধে বলার মত সাহস কারো নেই। অভিযোগের বিষয়বস্তু সঠিক হলে উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

উল্লেখিত অভিযোগ সম্পর্কে যুগ্ম সচিব তন্ময় দাসের মুঠোফোন নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি নতুন খবর দিলেন। এই প্রথম শুনলাম বিষয়টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাজউকের ৩০ হাজার নথি গায়েব: অভিযোগ সদস্য তন্ময় দাসের বিরুদ্ধে!

আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক সদস্য যুগ্ম সচিব তন্ময় দাসের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার নথি গায়েব ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজউক এর দেবাশীষ সাহা নামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা।

তথ্য বলছে, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) যুগ্ম সচিব তন্ময় দাস রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখায় তার নিয়োজিত ২/৩ জন দালাল অফিসারদের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ১০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি তার স্ত্রী এবং শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়দের নামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়। রাজউকের ৩০,০০০ হাজার নথি গায়েবের মূল হোতা তন্ময় দাস টেকনো হেভেনের (রাজউকের সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানীর) যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পন্থায় অর্জন করেছেন। তার অধীনস্থ অথরাইজড অফিসার সহকারী অথরাইজড অফিসার এমনকি ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে পোস্টিংসহ নক্সা জালিয়াতির মত বড় বড় কাজ তিনি তার নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে করিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে। এলাকায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি (তন্ময় দাস) বলে থাকেন, জনপ্রশাসন সচিব ও এপিডি আব্দুর সবুর , যতদিন রাজউকে থাকবো কামিয়ে যাবো, রাজউকে পোস্টিং নিয়ে এসেছি কামানোর জন্য। মাননীয় চেয়ারম্যান তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী যাচাই করলে বেরিয়ে আসবে শত শত কোটি। টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

অভিযোগকারী উক্ত অভিযোগে দাবি করেন, দেশের স্বার্থে ও রাজউকের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে তার এবং তার পরিবারের সম্পদের বিবরণী তদন্তের ব্যবস্থা করলে আমরা রাজউকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

অভিযোগের বিষয় খোঁজ খবর নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা (নাম অনিচ্ছুক) বলেন বর্তমানে রাজউকের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের পৃষ্ঠপোষক সিন্ডিকেটের একজন তন্ময় দাস। তার বিরুদ্ধে বলার মত সাহস কারো নেই। অভিযোগের বিষয়বস্তু সঠিক হলে উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

উল্লেখিত অভিযোগ সম্পর্কে যুগ্ম সচিব তন্ময় দাসের মুঠোফোন নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি নতুন খবর দিলেন। এই প্রথম শুনলাম বিষয়টি।