‘অশ্রাব্য শ্লোগানে ঘাতক চরিত্রের পরিচয় দিচ্ছে বিএনপি নেতারা ‘
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক; আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ বিএনপি নেতাদের এমন শ্লোগান তাদের ঘাতক চরিত্রের পরিচয় আবারও স্পষ্ট করেছে। আজ রোববার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও তাদের দোসররা সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে,তাদের বক্তব্য বিবৃতিতে কোন শালীনতা, সৌজন্যবোধও দেখাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও তারা নোংরা ভাষায় শ্লোগান দিচ্ছে, যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় শ্লোগান ও গালিগালাজ করার পরিনতি হবে ভয়াবহ।
‘এ সরকারের অধীনে নাকি আরকোন নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোন ব্যক্তি বাগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারী ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্যকে মেনে নেয় না। কোন ষড়যন্ত্রকারীর রক্তচক্ষু ও ত্রাসের কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ওদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিলেন। একই সাথে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে সংবিধান ও আইনকে ভূলুন্ঠিত করেছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সে অপরাজনীতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে আজকের বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যার ধারাবাহিকতায় কোন আইন বা নিয়ম নীতির কথা শুনলেই বিএনপি নেতাদের গায়ে জ্বালা ধরে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আর এ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকারের অধীনে নয়।
শেখ হাসিনা সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সেভাবেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপি মহাসচিবের মামার বাড়ীর আবদার। বিএনপি একেক সময় একেক দাবি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারা কখনো বলে জাতীয় সরকার, কখনো তত্ত্বাবধায়ক, আবার কখনো বলে নিরপেক্ষ সরকার, দেখতে দেখতে এক যুগেরও বেশি সময় পার করলেন বিএনপি নেতারা কিন্তু এখনো জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে পারেনি আসলে বিএনপি কী চায়?
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটাতো মীমাংসিত একটি বিষয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। বিএনপির নেত্রীই তো বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নাকি নিরপেক্ষ নয়। তবে কি ক্ষমতা পাগল বিএনপি কোন শিশু আর পাগলের অধীনে নির্বাচন চায় কিনা সেটাই প্রশ্ন?