ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




দোহার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

আয়েশা সিদ্দিকী: ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিন্দোল বারীর বিরুদ্ধে সহকারী সুন্দরী শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানি সহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৯/০৮/২০১৯ ইং তারিখে ভুক্তভুগি সহ শিক্ষিকারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও এই চরিত্রহীন শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যাবস্থা নেইনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন অভিযোগকারী শিক্ষিকাগন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, এই শিক্ষা কর্মকর্তার নারী ঘটিত ঘটনা নতুন নয়, বিগত দিনে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায় সহ শিক্ষা অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সেখানেও তিনি নারী শিক্ষিকাদের বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে নিজের বশে রাখতেন বলে জানা গেছে। সেখানেও একাধিক শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলো অন্তরঙ্গতা। পরবর্তীতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় থাকা কালীন সময়েও তার প্রতি শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। বর্তমানে তিনি দোহারে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিজেকে দারুন ক্ষমতাধর হিসেবে দাবি করেন । প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাবার পর থেকে বেপরোয়া জিবন পার করছেন তিনি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভুগী সহকারি শিক্ষিকা বলেন, এই বারী একজন চরিত্রহীন লোক, বাংলাদেশে যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি না থাকত তবে তার কুকর্মের কারনে শিক্ষিকাদের সন্তানের সংখ্যা বেড়ে যেতো আর অনেক আগেই প্রকাশ পেত তার চরিত্র। ওই শিক্ষিকা আরও বলেন একাধিক শিক্ষিকাদেরকে তিনি নিজের লালসা মেটানোর জন্য ব্যাবহার করেন। আর যারা তার কুপ্রস্তাব মেনে না নেয় তাদেরকে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন যেমন, ভাল জায়গায় পোস্টিং, বেতন স্কেল ও বিভাগীয় মামলা দেবার হুমকি দেন ইত্যাদি। এবং তাদের কে কোন পোগ্রমের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় না। আর একারণে অনেকেই বাধ্য হয় তার কথা রাজি হতে। সাধারণত প্রতি বছর শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন এ রিটানিং পরীক্ষার জন্য প্রতিটি স্কুলে নোটিশ পাঠানো হয় এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা ফরম পূরণ করে পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেন ও বিগত এক বছরের পারফরমেন্স রিপোর্ট দেখে সে অনুযায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন করা হয়, কিন্তু তিনি তার পছন্দ অনুযাই শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন করেন।

তাছাড়া তিনি প্রায় সময় সহকারী‌‌ শিক্ষিকার বাসায় রাত্রি যাপন করেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও থ্রিপিস উপহার দেয়ারও প্রমাণ রয়েছে। তিনি সুন্দরী শিক্ষিকাদের ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা আলাপ চারিতায় মেতে থাকেন। যা উপজেলাধীন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মকর্তাদের নজরে আসে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিবা আক্তার সকালের সংবাদে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ভুক্তভুগীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আমি তদন্তের ভার ভূমি অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের নিকট দিয়েছি তিনি এখনও তদন্ত রিপোর্ট দিতে সক্ষম হননি , তাই এখন বিষয়ে কিছু বলতে পারব না বলে সংবাদ কর্মীর প্রশ্নের উওর না দিয়েই ফোন এর লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে ভূমি অফিসার জ্যোতি চন্দ্র বিকাশকে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিন্দোল বারী বলেন, আমি জানি সহকারী শিক্ষিকারা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট আমার বিরুদ্ধে অনুলিপি দিয়েছেন তবে কি বিষয়ে দিয়েছেন তা আমার অজানা, তিনি এ বিষয়ে দ্বায়িত্বরত সাংবাদিককে তার অফিসে ডেকে সামনা সামনি কথা বলার প্রস্তাব দেন তিনি আরো বলেন এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো আর ফোন বলা যায় না আপনি আমার অফিসে আসুন ।

ভুক্তভুগীরা তার এহেন আচরণে অতিষ্ট হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তার এহেন আচরণের বন্ধে প্ৰয়জনীয় ব্যবস্থা নিতে জোরদার দাবি জানিয়েছেন। চলবে,,,,,

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দোহার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯

আয়েশা সিদ্দিকী: ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিন্দোল বারীর বিরুদ্ধে সহকারী সুন্দরী শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানি সহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৯/০৮/২০১৯ ইং তারিখে ভুক্তভুগি সহ শিক্ষিকারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও এই চরিত্রহীন শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যাবস্থা নেইনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন অভিযোগকারী শিক্ষিকাগন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, এই শিক্ষা কর্মকর্তার নারী ঘটিত ঘটনা নতুন নয়, বিগত দিনে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায় সহ শিক্ষা অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সেখানেও তিনি নারী শিক্ষিকাদের বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে নিজের বশে রাখতেন বলে জানা গেছে। সেখানেও একাধিক শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলো অন্তরঙ্গতা। পরবর্তীতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় থাকা কালীন সময়েও তার প্রতি শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। বর্তমানে তিনি দোহারে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিজেকে দারুন ক্ষমতাধর হিসেবে দাবি করেন । প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাবার পর থেকে বেপরোয়া জিবন পার করছেন তিনি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভুগী সহকারি শিক্ষিকা বলেন, এই বারী একজন চরিত্রহীন লোক, বাংলাদেশে যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি না থাকত তবে তার কুকর্মের কারনে শিক্ষিকাদের সন্তানের সংখ্যা বেড়ে যেতো আর অনেক আগেই প্রকাশ পেত তার চরিত্র। ওই শিক্ষিকা আরও বলেন একাধিক শিক্ষিকাদেরকে তিনি নিজের লালসা মেটানোর জন্য ব্যাবহার করেন। আর যারা তার কুপ্রস্তাব মেনে না নেয় তাদেরকে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন যেমন, ভাল জায়গায় পোস্টিং, বেতন স্কেল ও বিভাগীয় মামলা দেবার হুমকি দেন ইত্যাদি। এবং তাদের কে কোন পোগ্রমের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় না। আর একারণে অনেকেই বাধ্য হয় তার কথা রাজি হতে। সাধারণত প্রতি বছর শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন এ রিটানিং পরীক্ষার জন্য প্রতিটি স্কুলে নোটিশ পাঠানো হয় এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা ফরম পূরণ করে পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেন ও বিগত এক বছরের পারফরমেন্স রিপোর্ট দেখে সে অনুযায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন করা হয়, কিন্তু তিনি তার পছন্দ অনুযাই শ্রেষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বাচন করেন।

তাছাড়া তিনি প্রায় সময় সহকারী‌‌ শিক্ষিকার বাসায় রাত্রি যাপন করেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও থ্রিপিস উপহার দেয়ারও প্রমাণ রয়েছে। তিনি সুন্দরী শিক্ষিকাদের ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা আলাপ চারিতায় মেতে থাকেন। যা উপজেলাধীন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মকর্তাদের নজরে আসে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিবা আক্তার সকালের সংবাদে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ভুক্তভুগীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আমি তদন্তের ভার ভূমি অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের নিকট দিয়েছি তিনি এখনও তদন্ত রিপোর্ট দিতে সক্ষম হননি , তাই এখন বিষয়ে কিছু বলতে পারব না বলে সংবাদ কর্মীর প্রশ্নের উওর না দিয়েই ফোন এর লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে ভূমি অফিসার জ্যোতি চন্দ্র বিকাশকে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিন্দোল বারী বলেন, আমি জানি সহকারী শিক্ষিকারা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট আমার বিরুদ্ধে অনুলিপি দিয়েছেন তবে কি বিষয়ে দিয়েছেন তা আমার অজানা, তিনি এ বিষয়ে দ্বায়িত্বরত সাংবাদিককে তার অফিসে ডেকে সামনা সামনি কথা বলার প্রস্তাব দেন তিনি আরো বলেন এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো আর ফোন বলা যায় না আপনি আমার অফিসে আসুন ।

ভুক্তভুগীরা তার এহেন আচরণে অতিষ্ট হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তার এহেন আচরণের বন্ধে প্ৰয়জনীয় ব্যবস্থা নিতে জোরদার দাবি জানিয়েছেন। চলবে,,,,,