ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সহকারী ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির শেষ কোথায়   

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার|| বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. দেলোয়ার ও তার স্ত্রী স্নিগ্ধার অনিয়ম ও দুর্নীতির শেষ কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। অফিস সহকারী দেলোয়ার বেশ কয়েক বছর ধরে ঘাটি বেঁধেছেন এই কার্যালয়ে। তিনি (দেলোয়ার) ২০১১ সাল থেকে একই অফিসে রয়েছেন। অফিস সহকারী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আত্মীয়করন ও স্বজনপ্রীতির। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রীকে অবৈধভাবে (অভিযোগসূত্রে) নিয়োগ দেয়া হয়েছিল । নিয়োগের পর এক সপ্তাহও ঠিকমত দ্বায়িত্ব পালন করেনি স্নিগ্ধা ;এমনটাই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সাবেক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে দেলোয়ারের দহরমমহরম থাকায় স্ত্রীকে দ্বায়িত্ব পালন না করেই ঘরে বসে চাকুরী করিয়ে বেতন নিতে সমস্যা হয়নি দেলোয়ারের।

এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে বরিশাল আঞ্চলিক কর্মকর্তার অফিসে গেলে অফিস সহকারী দেলোয়ারকে পেলেও পাওয়া যায়নি তার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর স্নিগ্ধাকে। তিনি জানান, ” আমার স্ত্রী সম্প্রতি বাচ্চা প্রসব করেছেন। তাই আজ আসেনি। ” তাহলে কি ছুটি নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দেলোয়ার জানান ” না। আমার স্ত্রীর আজ অথবা তেমন কোন ছুটি কাটানো নেই। ”
আরেক প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন “অভিযোগ টি একদম মিথ্যা না। তবে আমি এ বিষয়ে এখন আর কথা বলতে পারবোনা। আমি ব্যাস্ত ”
সূত্রমতে, স্নিগ্ধা গত প্রায় তিন বছর ধরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর কাজ করে আসছেন। তিনি চাকুরী জীবনে এক সপ্তাহও কাজ করেননি কিন্তু কখনও বাসায় অথবা কখনও মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় সই করে চলে গেছেন। এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে অফিসের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা যেতে পারে। যে সিসি টিভি ক্যামেরায় রয়ে গেছে দেলোয়ারের স্বজনপ্রীতির ও স্নিগ্ধার দুর্নীতির প্রমাণ। সরকারের গুরত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ প্রজেক্টে বরিশাল অঞ্চলে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির হিড়িক। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন দেখেও না দেখার ভান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে অফিস সূত্র থেকে।
অভিযোগ সমন্ধে আঞ্চলিক নির্বাচনকর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন ” আমি বিষয়টি সমন্ধে জানতাম না। আমি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখে সত্য হলে ব্যাবস্থা নেব। “

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সহকারী ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির শেষ কোথায়   

আপডেট সময় : ০১:১৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার|| বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. দেলোয়ার ও তার স্ত্রী স্নিগ্ধার অনিয়ম ও দুর্নীতির শেষ কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। অফিস সহকারী দেলোয়ার বেশ কয়েক বছর ধরে ঘাটি বেঁধেছেন এই কার্যালয়ে। তিনি (দেলোয়ার) ২০১১ সাল থেকে একই অফিসে রয়েছেন। অফিস সহকারী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আত্মীয়করন ও স্বজনপ্রীতির। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রীকে অবৈধভাবে (অভিযোগসূত্রে) নিয়োগ দেয়া হয়েছিল । নিয়োগের পর এক সপ্তাহও ঠিকমত দ্বায়িত্ব পালন করেনি স্নিগ্ধা ;এমনটাই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সাবেক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে দেলোয়ারের দহরমমহরম থাকায় স্ত্রীকে দ্বায়িত্ব পালন না করেই ঘরে বসে চাকুরী করিয়ে বেতন নিতে সমস্যা হয়নি দেলোয়ারের।

এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে বরিশাল আঞ্চলিক কর্মকর্তার অফিসে গেলে অফিস সহকারী দেলোয়ারকে পেলেও পাওয়া যায়নি তার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর স্নিগ্ধাকে। তিনি জানান, ” আমার স্ত্রী সম্প্রতি বাচ্চা প্রসব করেছেন। তাই আজ আসেনি। ” তাহলে কি ছুটি নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দেলোয়ার জানান ” না। আমার স্ত্রীর আজ অথবা তেমন কোন ছুটি কাটানো নেই। ”
আরেক প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন “অভিযোগ টি একদম মিথ্যা না। তবে আমি এ বিষয়ে এখন আর কথা বলতে পারবোনা। আমি ব্যাস্ত ”
সূত্রমতে, স্নিগ্ধা গত প্রায় তিন বছর ধরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর কাজ করে আসছেন। তিনি চাকুরী জীবনে এক সপ্তাহও কাজ করেননি কিন্তু কখনও বাসায় অথবা কখনও মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় সই করে চলে গেছেন। এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে অফিসের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা যেতে পারে। যে সিসি টিভি ক্যামেরায় রয়ে গেছে দেলোয়ারের স্বজনপ্রীতির ও স্নিগ্ধার দুর্নীতির প্রমাণ। সরকারের গুরত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ প্রজেক্টে বরিশাল অঞ্চলে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির হিড়িক। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন দেখেও না দেখার ভান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে অফিস সূত্র থেকে।
অভিযোগ সমন্ধে আঞ্চলিক নির্বাচনকর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন ” আমি বিষয়টি সমন্ধে জানতাম না। আমি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখে সত্য হলে ব্যাবস্থা নেব। “