ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে: নিরাপত্তাহীনতায় সেই মেয়ের পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

লালমনিরহাটে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সেই শিক্ষার্থীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি কাজে যেতে পারছেন না। ছেলেপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি কাজে যেতে না পারায় সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধার-দেনা করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের। মামলার পর ধর্ষক শাহীন আলম গ্রেফতার হওয়ায় তার পক্ষের লোকজনের হুমকির মাত্রা বেড়েছে। আপসরফার প্রস্তাবও দিচ্ছে ধর্ষকের লোকজন।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, ধর্ষক শাহীন আলমের মামা আবদুস সামাদ, মজিবর ও হায়দার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে ওই পরিবারকে। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বাহে, যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা শাহীনের মামা সামাদের হাতে দিয়েছে। এলা (এখন) ওমরা অস্বীকার করে। বাড়িত আসি উল্টো হামাক গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়। হামরা যাম (যাব) কই?’

মেয়েটি জানায়, ছেলের চাচা ইলাহি আপসের প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার তাদের বাড়িতে আসেন। তার বাবাকে উধাও করার হুমকি দিচ্ছে তারা। ধর্ষকের সঙ্গে এসআই মাইনুলের বিচার দাবি করে সে বলে, ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এমন নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হতো না। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে গত ১১ আগস্ট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন থানার এসআই মাইনুল ইসলাম। বিয়ে হলেও মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কাবিননামা হাতে পায়নি মেয়েপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছেলেপক্ষ বিয়ে অস্বীকার করে ঘরে তুলছে না মেয়েকে।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে: নিরাপত্তাহীনতায় সেই মেয়ের পরিবার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

লালমনিরহাটে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সেই শিক্ষার্থীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি কাজে যেতে পারছেন না। ছেলেপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি কাজে যেতে না পারায় সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধার-দেনা করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের। মামলার পর ধর্ষক শাহীন আলম গ্রেফতার হওয়ায় তার পক্ষের লোকজনের হুমকির মাত্রা বেড়েছে। আপসরফার প্রস্তাবও দিচ্ছে ধর্ষকের লোকজন।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, ধর্ষক শাহীন আলমের মামা আবদুস সামাদ, মজিবর ও হায়দার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে ওই পরিবারকে। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বাহে, যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা শাহীনের মামা সামাদের হাতে দিয়েছে। এলা (এখন) ওমরা অস্বীকার করে। বাড়িত আসি উল্টো হামাক গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়। হামরা যাম (যাব) কই?’

মেয়েটি জানায়, ছেলের চাচা ইলাহি আপসের প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার তাদের বাড়িতে আসেন। তার বাবাকে উধাও করার হুমকি দিচ্ছে তারা। ধর্ষকের সঙ্গে এসআই মাইনুলের বিচার দাবি করে সে বলে, ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এমন নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হতো না। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে গত ১১ আগস্ট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন থানার এসআই মাইনুল ইসলাম। বিয়ে হলেও মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কাবিননামা হাতে পায়নি মেয়েপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছেলেপক্ষ বিয়ে অস্বীকার করে ঘরে তুলছে না মেয়েকে।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন।