ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




জন্ম পরিচয় ফিরে পাবার আকুতি ছোট বেলায় কিডন্যাপ হওয়া শারমিনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;

শারমিনের লেখা তুলে ধরা হল;
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা যদি কাকতালীয় ভাবে কারো সাথে মিলে যায়, দয়া করে আমাকে আমার পরিচয় ফিরিয়ে দিন!!

আমি সব সমায়ে দাবি করি ছোট বেলায় আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে,তার নিদিষ্ট কারণ হলো,আজ থেকে ১৭ বছর আগে আমার বয়স যখন তিন সাড়ে তিন বছর, তখন আমাকে ঢাকার রামপুরা থেকে নিয়ে যায়,শরিয়তপুর জেলার ড্যামুডা থানা আদাশন গ্রামের মাহমুদা ও তার স্বামী, আবদুল হক সরদার,এর পর একই গ্রামের হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম দম্পতি কাছে আমাকে দিয়ে দেয়,হায়দার শিকদার ও মাহমুদা সম্পর্কে খালা ভাগিনা,সেই সমায়ে হায়দার শিকদার এর কোন ছেলে মেয়ে ছিলো না, আমাকে নেয়ার ৫/৬ বছর পর হায়দার শিকদার ও আসমা দম্পতির একটি মেয়ে হয়,সেই সমায়ে আমার বয়স ৯/১০ তাদের নিজস্ব সন্তান হওয়ার পর মাহ মুদা ও হায়দার মিলে প্রথমে ঢাকায় একটি বাসায় কাজে দেয়,সেখানে আমি কান্নাকাটি করতাম বলে, একমাস পর আবার আমাকে শরিয়ত পুর নিয়ে যায়,হায়দার শিকদার ঢাকায় থাকতো,তিনি আমাকে আদর করলে ও তার স্ত্রী আসমা বেগম আমাকে দুচোখে দেখতে পারতো না,আমাকে দিয়ে সংসারের সব কাজ করিয়ে নিতো,না করলে কপালে খাওয়া জুটতো না,মাইরের কথা নাই বলি,কাজ করতাম না বলে এক সমায়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,এর পর ঐ এলাকার মহিলাদের সহায়তায় পাসবর্তী গোঁসাই র হাট থানার ব্যাবসাহী লোকমান সরদার এর বাসায় আশ্রয় নেই,সেখানে আমার জীবনের ৪ বছর কেটে যায় কাজের মেয়ে হিসাবে। এর পর হায়দার শিকদার এর ভাইয়ের বৌ আমার চাচী তিনি আমাকে ঢাকায় একটা বাসায় কাজে দেয়।ঢাকায় আসার পর মানুষের বাসায় কাজ করি আর আমার শিকড়, মানে নিজের জন্ম পরিচয় খুজতে থাকি,এমন পরিচিতির মাঝে আমার কষ্টের কথা গুলো শুনে একটা ছেলে আমাকে বিয়ে করে আমাদের ৫ মাস বয়সের একটা মেয়ে বেবী আছে।আপনারা অনেক সমায়ে অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার জন্য কৃতজ্ঞ,অনেক ভাই বলে থাকেন যারা আমাকে ঢাকা থেকে নিয়ে ছিলো তাদের নামে মামলা করতে,মামালা করা সহজ,কিন্তু এর ব্যয় ভার বহন করা আমার জন্য কঠিন।তাছাড়া আমি চাইনা আমাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তারা আমার জন্য কষ্ট পাক।

যে আমাকে ঢাকা থেকে নিয়ে ছিলো মাহমুদার বক্তব্য এমন,১৭ বছর আগে আমার মা রামপুরায় বাসা ভাড়া থাকতো আমি যখন তিন সাড়ে তিন বছরের শিশু একদিন আমার মা,আমাকে পাসের বাসার এক মহিলার কাছে রেখে কোথায় যেনো গিয়েছে,দুই তিনদিন কেটে গেলোও আমার মা নাকি আর ফেরৎ আসেননি,তখন মাহমুদা ও আব্দুল হক তারা স্বামী স্ত্রী মিলে আমাকে শরিয়ত পুর জেলার ড্যামুডায় নিয়ে যায়, ও তার ভাগিনা হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম দম্পতির নিকট আমাকে পালতে দেয়।আমাকে নেয়ার ৬ মাস পর নাকি আমার বাবা এবং মা আমাকে খুঁজতে খুজতে শরিয়ত পুর গিয়ে ছিলো। কিন্ত আমি নাকি আমার বাবা মায়ের সাথে আসতে চাইনি,আমার বাবা মা ছাড়াও তাদের সাথে আমার একটা ছোট বোন ও বড় ভাই ছিলো ভাইটির নাম রাজু-এবং সে আরো বলেছে আমার মায়ের যার সাথে যার বিয়ে হয়েছিল তার নাম ফজলার রহমান, তিনি নাকি হলিফ্যামিলি হসপিটালে চাকুরী করতেন।আমি আমার পরিচয় জানতে ও তার কথার সত্যতা নিশ্চিত হতে ঐ হসপিটালে একদিন গিয়ে ছিলাম, কিন্তু ঐ নামে কোন স্টাফ কে খুজে পাইনি,তবে হয়তো উচ্চ কোন কর্মকর্তা সাথে কথা বললে হয় তো এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যেতো।তবে মাহমুদার কথা যদি সত্যি হয় তবে কেনো বা কি কারণে আমার বাবা মা আর ১৭ বছর কোন খোঁজ খবর নেয়নি সেটাই ভাবার বিষয় যাই ঘটে থাক আমার জীবনে আমি চাই আমার পিতৃ পরিচয়।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জন্ম পরিচয় ফিরে পাবার আকুতি ছোট বেলায় কিডন্যাপ হওয়া শারমিনের

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

সকালের সংবাদ;

শারমিনের লেখা তুলে ধরা হল;
আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা যদি কাকতালীয় ভাবে কারো সাথে মিলে যায়, দয়া করে আমাকে আমার পরিচয় ফিরিয়ে দিন!!

আমি সব সমায়ে দাবি করি ছোট বেলায় আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে,তার নিদিষ্ট কারণ হলো,আজ থেকে ১৭ বছর আগে আমার বয়স যখন তিন সাড়ে তিন বছর, তখন আমাকে ঢাকার রামপুরা থেকে নিয়ে যায়,শরিয়তপুর জেলার ড্যামুডা থানা আদাশন গ্রামের মাহমুদা ও তার স্বামী, আবদুল হক সরদার,এর পর একই গ্রামের হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম দম্পতি কাছে আমাকে দিয়ে দেয়,হায়দার শিকদার ও মাহমুদা সম্পর্কে খালা ভাগিনা,সেই সমায়ে হায়দার শিকদার এর কোন ছেলে মেয়ে ছিলো না, আমাকে নেয়ার ৫/৬ বছর পর হায়দার শিকদার ও আসমা দম্পতির একটি মেয়ে হয়,সেই সমায়ে আমার বয়স ৯/১০ তাদের নিজস্ব সন্তান হওয়ার পর মাহ মুদা ও হায়দার মিলে প্রথমে ঢাকায় একটি বাসায় কাজে দেয়,সেখানে আমি কান্নাকাটি করতাম বলে, একমাস পর আবার আমাকে শরিয়ত পুর নিয়ে যায়,হায়দার শিকদার ঢাকায় থাকতো,তিনি আমাকে আদর করলে ও তার স্ত্রী আসমা বেগম আমাকে দুচোখে দেখতে পারতো না,আমাকে দিয়ে সংসারের সব কাজ করিয়ে নিতো,না করলে কপালে খাওয়া জুটতো না,মাইরের কথা নাই বলি,কাজ করতাম না বলে এক সমায়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,এর পর ঐ এলাকার মহিলাদের সহায়তায় পাসবর্তী গোঁসাই র হাট থানার ব্যাবসাহী লোকমান সরদার এর বাসায় আশ্রয় নেই,সেখানে আমার জীবনের ৪ বছর কেটে যায় কাজের মেয়ে হিসাবে। এর পর হায়দার শিকদার এর ভাইয়ের বৌ আমার চাচী তিনি আমাকে ঢাকায় একটা বাসায় কাজে দেয়।ঢাকায় আসার পর মানুষের বাসায় কাজ করি আর আমার শিকড়, মানে নিজের জন্ম পরিচয় খুজতে থাকি,এমন পরিচিতির মাঝে আমার কষ্টের কথা গুলো শুনে একটা ছেলে আমাকে বিয়ে করে আমাদের ৫ মাস বয়সের একটা মেয়ে বেবী আছে।আপনারা অনেক সমায়ে অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার জন্য কৃতজ্ঞ,অনেক ভাই বলে থাকেন যারা আমাকে ঢাকা থেকে নিয়ে ছিলো তাদের নামে মামলা করতে,মামালা করা সহজ,কিন্তু এর ব্যয় ভার বহন করা আমার জন্য কঠিন।তাছাড়া আমি চাইনা আমাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তারা আমার জন্য কষ্ট পাক।

যে আমাকে ঢাকা থেকে নিয়ে ছিলো মাহমুদার বক্তব্য এমন,১৭ বছর আগে আমার মা রামপুরায় বাসা ভাড়া থাকতো আমি যখন তিন সাড়ে তিন বছরের শিশু একদিন আমার মা,আমাকে পাসের বাসার এক মহিলার কাছে রেখে কোথায় যেনো গিয়েছে,দুই তিনদিন কেটে গেলোও আমার মা নাকি আর ফেরৎ আসেননি,তখন মাহমুদা ও আব্দুল হক তারা স্বামী স্ত্রী মিলে আমাকে শরিয়ত পুর জেলার ড্যামুডায় নিয়ে যায়, ও তার ভাগিনা হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম দম্পতির নিকট আমাকে পালতে দেয়।আমাকে নেয়ার ৬ মাস পর নাকি আমার বাবা এবং মা আমাকে খুঁজতে খুজতে শরিয়ত পুর গিয়ে ছিলো। কিন্ত আমি নাকি আমার বাবা মায়ের সাথে আসতে চাইনি,আমার বাবা মা ছাড়াও তাদের সাথে আমার একটা ছোট বোন ও বড় ভাই ছিলো ভাইটির নাম রাজু-এবং সে আরো বলেছে আমার মায়ের যার সাথে যার বিয়ে হয়েছিল তার নাম ফজলার রহমান, তিনি নাকি হলিফ্যামিলি হসপিটালে চাকুরী করতেন।আমি আমার পরিচয় জানতে ও তার কথার সত্যতা নিশ্চিত হতে ঐ হসপিটালে একদিন গিয়ে ছিলাম, কিন্তু ঐ নামে কোন স্টাফ কে খুজে পাইনি,তবে হয়তো উচ্চ কোন কর্মকর্তা সাথে কথা বললে হয় তো এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যেতো।তবে মাহমুদার কথা যদি সত্যি হয় তবে কেনো বা কি কারণে আমার বাবা মা আর ১৭ বছর কোন খোঁজ খবর নেয়নি সেটাই ভাবার বিষয় যাই ঘটে থাক আমার জীবনে আমি চাই আমার পিতৃ পরিচয়।।