ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




১৪ বছর স্বামীর পিঠে ভর করেই প্রতিবন্ধী রওশনের ভালোবাসার সংসার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ স্পেশাল: দিন তারিখ উদযাপনের মাধ্যমে কখনোই ভালোবাসার পূর্ণতা পায়না কিন্তু ভালোবাসা দিবস আসলেই আমাদের মাঝে লেগে পরে ভালবাসা দেখানো হুরিহুরি। ভালোবাসা আর এই দিবসকে ঘিরে চলে কতইনা রমরমা বাণিজ্য আর অশ্লীলতা। ভালোবাসা দিবসের এই দিনে রওশন সোহেলের ভালোবাসা ও ১৪ বছরের সংসারের গল্প হৃদয় কেড়ে নেবে যে কোন মানুষের।

ময়মনসিংহের রওশনকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় সোহেল নিজের পায়ে হাঁটতে না পারা রওশনকে ভালোবেসে বিয়ে সংসার পার হয়ে গেছে ১৪ বছর।

১৪ বছর আ‌গের রোমান্টিক হৃদয়স্পর্শী আবেগী ভালোবাসার গল্প। হঠাৎ এক‌দিন রওশন‌কে দে‌খে মুগ্ধ হন সো‌হেল। খোঁজ নি‌য়ে জান‌তে পা‌রেন মে‌য়ে‌টি হাঁট‌তে পা‌রেন না। জানার পর সো‌হে‌লের মুগ্ধতা আ‌রো বেড়ে যায় রওশ‌নের প্রতি। শুরু হয় প্রেম। প্রেমের বিষয়‌টি জে‌নে স্বজনরা রওশন‌কে ব‌লে‌ছিল প্রেম শেষ হ‌য়ে গে‌লেই পা‌লি‌য়ে যা‌বে ছে‌লে‌টি। স্বজন‌দের এ ভাবনাটা যে অমূলক ছিল তা কিন্তু নয়। কার‌ণ চারপা‌শে ঠুন‌কো বিষ‌য়ে তারা শেষ হ‌য়ে যে‌তে দে‌খে‌ছে অ‌নেক মজবুত সম্পর্কও। সেইসব অ‌ভিজ্ঞতা থে‌কেই রওশন‌কে স‌াবধান ক‌রেছি‌লেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বজন‌দের ভাবনার উ‌ল্টোটা ঘ‌টে‌ছে। প্রেমিকা রওশন‌কে বি‌য়ে ক‌রে‌ছে সো‌হেল। ১৪ বছ‌র ধ‌রে তারা মুগ্ধতার স‌ঙ্গে সংসা‌র কর‌ছে তারা। তা‌দের ঘ‌রে এখন ফুটফুটে এক‌টি কন্যা সন্তান। ১৪ বছর ধ‌রে স্বামী সোহে‌লের পিঠে ভর করি চলাচল করেন রওশ‌ন। স্বামীই তার প্রধান বাহন। যে‌কো‌নো জায়গায় স্বামীর পি‌ঠে উ‌ঠে চ‌লে যায় রওশন।

এ সমা‌জে বহু বুক ভরা ভা‌লোবাসা নি‌শি‌ষেই শে‌ষ হ‌তে দে‌খে‌ছি আমরা। দেখেছ অসংখ্য অশ্লীলতা প্রতারণার কাহিনী। কিন্তু ১৪ বছর ভা‌লোবাসায় মানুষকে বয়ে চললেও ক্লান্ত হ‌তে দে‌খি‌নি ক্লান্ত না হওয়া একজন জীবনসঙ্গী সোহেল। স্ত্রী হি‌সে‌বে রওশ‌নের ম‌তো ভাগ‌্যবান এবং স্বামী হি‌সে‌বে সো‌হে‌লের ম‌তো ভরসার পুরুষ এ সমা‌জে এখন নেই বল‌লেই চ‌লে। আজীবন ভা‌লো থাকুক ওরা। নিপাত যাক সমাজের ভালোবাসার নামে স্বার্থপরতা প্রতারণা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১৪ বছর স্বামীর পিঠে ভর করেই প্রতিবন্ধী রওশনের ভালোবাসার সংসার

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সকালের সংবাদ স্পেশাল: দিন তারিখ উদযাপনের মাধ্যমে কখনোই ভালোবাসার পূর্ণতা পায়না কিন্তু ভালোবাসা দিবস আসলেই আমাদের মাঝে লেগে পরে ভালবাসা দেখানো হুরিহুরি। ভালোবাসা আর এই দিবসকে ঘিরে চলে কতইনা রমরমা বাণিজ্য আর অশ্লীলতা। ভালোবাসা দিবসের এই দিনে রওশন সোহেলের ভালোবাসা ও ১৪ বছরের সংসারের গল্প হৃদয় কেড়ে নেবে যে কোন মানুষের।

ময়মনসিংহের রওশনকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় সোহেল নিজের পায়ে হাঁটতে না পারা রওশনকে ভালোবেসে বিয়ে সংসার পার হয়ে গেছে ১৪ বছর।

১৪ বছর আ‌গের রোমান্টিক হৃদয়স্পর্শী আবেগী ভালোবাসার গল্প। হঠাৎ এক‌দিন রওশন‌কে দে‌খে মুগ্ধ হন সো‌হেল। খোঁজ নি‌য়ে জান‌তে পা‌রেন মে‌য়ে‌টি হাঁট‌তে পা‌রেন না। জানার পর সো‌হে‌লের মুগ্ধতা আ‌রো বেড়ে যায় রওশ‌নের প্রতি। শুরু হয় প্রেম। প্রেমের বিষয়‌টি জে‌নে স্বজনরা রওশন‌কে ব‌লে‌ছিল প্রেম শেষ হ‌য়ে গে‌লেই পা‌লি‌য়ে যা‌বে ছে‌লে‌টি। স্বজন‌দের এ ভাবনাটা যে অমূলক ছিল তা কিন্তু নয়। কার‌ণ চারপা‌শে ঠুন‌কো বিষ‌য়ে তারা শেষ হ‌য়ে যে‌তে দে‌খে‌ছে অ‌নেক মজবুত সম্পর্কও। সেইসব অ‌ভিজ্ঞতা থে‌কেই রওশন‌কে স‌াবধান ক‌রেছি‌লেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বজন‌দের ভাবনার উ‌ল্টোটা ঘ‌টে‌ছে। প্রেমিকা রওশন‌কে বি‌য়ে ক‌রে‌ছে সো‌হেল। ১৪ বছ‌র ধ‌রে তারা মুগ্ধতার স‌ঙ্গে সংসা‌র কর‌ছে তারা। তা‌দের ঘ‌রে এখন ফুটফুটে এক‌টি কন্যা সন্তান। ১৪ বছর ধ‌রে স্বামী সোহে‌লের পিঠে ভর করি চলাচল করেন রওশ‌ন। স্বামীই তার প্রধান বাহন। যে‌কো‌নো জায়গায় স্বামীর পি‌ঠে উ‌ঠে চ‌লে যায় রওশন।

এ সমা‌জে বহু বুক ভরা ভা‌লোবাসা নি‌শি‌ষেই শে‌ষ হ‌তে দে‌খে‌ছি আমরা। দেখেছ অসংখ্য অশ্লীলতা প্রতারণার কাহিনী। কিন্তু ১৪ বছর ভা‌লোবাসায় মানুষকে বয়ে চললেও ক্লান্ত হ‌তে দে‌খি‌নি ক্লান্ত না হওয়া একজন জীবনসঙ্গী সোহেল। স্ত্রী হি‌সে‌বে রওশ‌নের ম‌তো ভাগ‌্যবান এবং স্বামী হি‌সে‌বে সো‌হে‌লের ম‌তো ভরসার পুরুষ এ সমা‌জে এখন নেই বল‌লেই চ‌লে। আজীবন ভা‌লো থাকুক ওরা। নিপাত যাক সমাজের ভালোবাসার নামে স্বার্থপরতা প্রতারণা।