ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




হাত-পা বেঁধে ছাত্রীকে ধর্ষণ : কোচিং মালিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাড়িতে মায়ের অনুপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুল ইসলাম কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুলকে গ্রেফতারের করতে গেলে তার সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।’

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) মায়ের অনুপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে তিনি আত্মগোপনে যান। এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা করে ওই স্কুলছাত্রীর মা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সাইফুলের অনুরোধে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।

গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল এবং তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হাত-পা বেঁধে ছাত্রীকে ধর্ষণ : কোচিং মালিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আপডেট সময় : ১১:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাড়িতে মায়ের অনুপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুল ইসলাম কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের মালিক সাইফুলকে গ্রেফতারের করতে গেলে তার সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।’

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) মায়ের অনুপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে তিনি আত্মগোপনে যান। এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা করে ওই স্কুলছাত্রীর মা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সাইফুলের অনুরোধে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।

গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল এবং তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।