ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’!




ধর্ষণের প্রতিকার চেয়ে আরেক জনের কাছে ধর্ষিত!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯ ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; রাজধানীতে ধর্ষনের প্রতিকার চাইতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের হাতেই এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বাদল হোসেন। এ ঘটনায় শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় দুইটি আলাদা মামলা দায়ের করেছে ওই শিক্ষার্থী। সোমাবার (৮ এপ্রিল) মামলার বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, রোববার (৭ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ এলাকার একটি হোটেলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে জয় ঘোষ (২৪) নামে এক যুবক। ধর্ষণ করার দৃশ্য ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে ভিডিও করে জয় ঘোষ। এরপর গুলিস্তান এলাকায় কিশোরীকে নামিয়ে দেয় সে। যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় জয় ঘোষ। গুলিস্তান এলাকায় নেমেই বিষয়টি পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেনকে খুলে বলে ওই কিশোরী। বাদল মোবাইল ফোন উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায় তাকে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে সে।

এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগ থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেন ও জয় ঘোষকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এবিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, কনস্টেবল বাদল পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত। কোনো থানায় দায়িত্বরত নয়। বাদল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে থাকতো। বিভিন্ন ভিভিআইপির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সে। তিনি বলেন, তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় এক বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে কনস্টেবল বাদল।
মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তার জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। যেখানে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই বাসার আলামত জব্দ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেবল ডিএনএ পরীক্ষা করা বাদ আছে। তবে বাদল যে ধর্ষণ করেছে, তার প্রাথমিক প্রমাণ আমরা পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাও ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।

মামলার অন্য আসামি জয় ইতোমধ্যেই ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভুক্তভোগীও আদালতে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরী তার মা-বাবার সঙ্গে ঢাকায়ই থাকে। ফেসবুকে জয় ঘোষের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই সুযোগ নিয়ে জয় ঘোষ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। রোববার যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন,আসামি জয় ঘোষ কিশোরীটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এরপর সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় প্রতিকার চাইতে আসা কিশোরীটিকে ফের ধর্ষণ করে কনস্টেবল বাদল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষণের প্রতিকার চেয়ে আরেক জনের কাছে ধর্ষিত!

আপডেট সময় : ১২:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; রাজধানীতে ধর্ষনের প্রতিকার চাইতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের হাতেই এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বাদল হোসেন। এ ঘটনায় শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থানায় দুইটি আলাদা মামলা দায়ের করেছে ওই শিক্ষার্থী। সোমাবার (৮ এপ্রিল) মামলার বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, রোববার (৭ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ এলাকার একটি হোটেলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে জয় ঘোষ (২৪) নামে এক যুবক। ধর্ষণ করার দৃশ্য ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে ভিডিও করে জয় ঘোষ। এরপর গুলিস্তান এলাকায় কিশোরীকে নামিয়ে দেয় সে। যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় জয় ঘোষ। গুলিস্তান এলাকায় নেমেই বিষয়টি পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেনকে খুলে বলে ওই কিশোরী। বাদল মোবাইল ফোন উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায় তাকে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে সে।

এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগ থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ কনস্টেবল বাদল হোসেন ও জয় ঘোষকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এবিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, কনস্টেবল বাদল পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত। কোনো থানায় দায়িত্বরত নয়। বাদল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে থাকতো। বিভিন্ন ভিভিআইপির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সে। তিনি বলেন, তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় এক বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে কনস্টেবল বাদল।
মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তার জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। যেখানে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই বাসার আলামত জব্দ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেবল ডিএনএ পরীক্ষা করা বাদ আছে। তবে বাদল যে ধর্ষণ করেছে, তার প্রাথমিক প্রমাণ আমরা পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাও ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।

মামলার অন্য আসামি জয় ইতোমধ্যেই ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভুক্তভোগীও আদালতে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরী তার মা-বাবার সঙ্গে ঢাকায়ই থাকে। ফেসবুকে জয় ঘোষের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই সুযোগ নিয়ে জয় ঘোষ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। রোববার যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন,আসামি জয় ঘোষ কিশোরীটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এরপর সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় প্রতিকার চাইতে আসা কিশোরীটিকে ফের ধর্ষণ করে কনস্টেবল বাদল।