ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’!




পাবনায় মিথ্যা অপবাদে যুবককে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

পাবনায় মিথ্যা অপবাদে জরিমানা করে তা দিতে না পারায় এক যুবককে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

সন্তান হারানোর শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন যুবকের মা। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় স্বজনরা বিচার চাইলেও মামলা না নেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর আশুতোষপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের সাথে একই গ্রামের এক নারীর সম্পর্ক আছে, এমন অভিযোগে সম্প্রতি সালিশের আয়োজন করে ৪নম্বর ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সাইদ।

কোন প্রমাণ ছাড়াই সালিশে সবুজকে দোষী সাব্যস্ত করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সে টাকা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে জোর করে সুদে টাকা ধার নিতেও বাধ্য করেন সাইদ।

নির্ধারিত সময়ে টাকা দিতে না পারায় গত ২৯শে ডিসেম্বর রাতে সবুজকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে কীটনাশক খেতে বাধ্য করে আবু সাইদের লোকজন। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে সব বলে যান সবুজ। স্বজনরা জানান,’চাকু ঠেকিয়ে বলে বড়ি খাইলে খাবি, নয়তো তোকে ব্রিজের কাছে নিয়ে, জবাই করে পানিতে ফেলে দেবো। আমার মার কাছে বলে গেছে, গলায় ছুরি ধরে ট্যাবলেট খাওয়াইছে। না খাইলে জবাই করে গাঙ্গে ভাসায় দিবো।’

এদিকে পুত্র হত্যার শোক সইতে না পেরে একদিন পর ৩১শে ডিসেম্বর মারা যান মা আনোয়ারা খাতুনও। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী জানান,’পুলিশ কোন সহযোগীতা করেনি। ধমক দিয়েছে। তারপর আমরা চলে আসি।’

স্বজনদের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দিলেও হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালেন ওসি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন,’এগুলো ফালতু কথা। তাদের কথা শুনেন না। তাদেরকে আমরা বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমরা পোষ্টমর্টাম করেছি। রিপোর্টে সবকিছু পরস্কার হবে।’

আর বিষয়টিকে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র বলে দাবি অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের। পাবনা দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন,’যে সব কথা হচ্ছে সবকিছু ভুয়া কথা। আমি যেন ভোট না পাই তাই আমার নামে এইসব সমালোচানা। সেও আমার প্রতিপক্ষ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাবনায় মিথ্যা অপবাদে যুবককে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

পাবনায় মিথ্যা অপবাদে জরিমানা করে তা দিতে না পারায় এক যুবককে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

সন্তান হারানোর শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন যুবকের মা। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় স্বজনরা বিচার চাইলেও মামলা না নেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর আশুতোষপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের সাথে একই গ্রামের এক নারীর সম্পর্ক আছে, এমন অভিযোগে সম্প্রতি সালিশের আয়োজন করে ৪নম্বর ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সাইদ।

কোন প্রমাণ ছাড়াই সালিশে সবুজকে দোষী সাব্যস্ত করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সে টাকা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে জোর করে সুদে টাকা ধার নিতেও বাধ্য করেন সাইদ।

নির্ধারিত সময়ে টাকা দিতে না পারায় গত ২৯শে ডিসেম্বর রাতে সবুজকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে কীটনাশক খেতে বাধ্য করে আবু সাইদের লোকজন। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে সব বলে যান সবুজ। স্বজনরা জানান,’চাকু ঠেকিয়ে বলে বড়ি খাইলে খাবি, নয়তো তোকে ব্রিজের কাছে নিয়ে, জবাই করে পানিতে ফেলে দেবো। আমার মার কাছে বলে গেছে, গলায় ছুরি ধরে ট্যাবলেট খাওয়াইছে। না খাইলে জবাই করে গাঙ্গে ভাসায় দিবো।’

এদিকে পুত্র হত্যার শোক সইতে না পেরে একদিন পর ৩১শে ডিসেম্বর মারা যান মা আনোয়ারা খাতুনও। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী জানান,’পুলিশ কোন সহযোগীতা করেনি। ধমক দিয়েছে। তারপর আমরা চলে আসি।’

স্বজনদের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দিলেও হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালেন ওসি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন,’এগুলো ফালতু কথা। তাদের কথা শুনেন না। তাদেরকে আমরা বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমরা পোষ্টমর্টাম করেছি। রিপোর্টে সবকিছু পরস্কার হবে।’

আর বিষয়টিকে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র বলে দাবি অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের। পাবনা দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন,’যে সব কথা হচ্ছে সবকিছু ভুয়া কথা। আমি যেন ভোট না পাই তাই আমার নামে এইসব সমালোচানা। সেও আমার প্রতিপক্ষ।’