ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে: নিরাপত্তাহীনতায় সেই মেয়ের পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

লালমনিরহাটে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সেই শিক্ষার্থীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি কাজে যেতে পারছেন না। ছেলেপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি কাজে যেতে না পারায় সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধার-দেনা করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের। মামলার পর ধর্ষক শাহীন আলম গ্রেফতার হওয়ায় তার পক্ষের লোকজনের হুমকির মাত্রা বেড়েছে। আপসরফার প্রস্তাবও দিচ্ছে ধর্ষকের লোকজন।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, ধর্ষক শাহীন আলমের মামা আবদুস সামাদ, মজিবর ও হায়দার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে ওই পরিবারকে। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বাহে, যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা শাহীনের মামা সামাদের হাতে দিয়েছে। এলা (এখন) ওমরা অস্বীকার করে। বাড়িত আসি উল্টো হামাক গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়। হামরা যাম (যাব) কই?’

মেয়েটি জানায়, ছেলের চাচা ইলাহি আপসের প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার তাদের বাড়িতে আসেন। তার বাবাকে উধাও করার হুমকি দিচ্ছে তারা। ধর্ষকের সঙ্গে এসআই মাইনুলের বিচার দাবি করে সে বলে, ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এমন নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হতো না। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে গত ১১ আগস্ট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন থানার এসআই মাইনুল ইসলাম। বিয়ে হলেও মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কাবিননামা হাতে পায়নি মেয়েপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছেলেপক্ষ বিয়ে অস্বীকার করে ঘরে তুলছে না মেয়েকে।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে: নিরাপত্তাহীনতায় সেই মেয়ের পরিবার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

লালমনিরহাট সংবাদদাতা

লালমনিরহাটে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে হওয়া সেই শিক্ষার্থীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মেয়েটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি কাজে যেতে পারছেন না। ছেলেপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি কাজে যেতে না পারায় সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধার-দেনা করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের। মামলার পর ধর্ষক শাহীন আলম গ্রেফতার হওয়ায় তার পক্ষের লোকজনের হুমকির মাত্রা বেড়েছে। আপসরফার প্রস্তাবও দিচ্ছে ধর্ষকের লোকজন।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে জানা যায়, ধর্ষক শাহীন আলমের মামা আবদুস সামাদ, মজিবর ও হায়দার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে ওই পরিবারকে। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বাহে, যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা শাহীনের মামা সামাদের হাতে দিয়েছে। এলা (এখন) ওমরা অস্বীকার করে। বাড়িত আসি উল্টো হামাক গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়। হামরা যাম (যাব) কই?’

মেয়েটি জানায়, ছেলের চাচা ইলাহি আপসের প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার তাদের বাড়িতে আসেন। তার বাবাকে উধাও করার হুমকি দিচ্ছে তারা। ধর্ষকের সঙ্গে এসআই মাইনুলের বিচার দাবি করে সে বলে, ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এমন নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হতো না। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে গত ১১ আগস্ট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন থানার এসআই মাইনুল ইসলাম। বিয়ে হলেও মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কাবিননামা হাতে পায়নি মেয়েপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছেলেপক্ষ বিয়ে অস্বীকার করে ঘরে তুলছে না মেয়েকে।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন।