ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




এবার ‘ইয়াবা আমিন’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯ ৭০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ
তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পর প্রকাশ্যে আসে দেশের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিমের নাম। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা। সাইফুল করিম এখন অতীত।

এবার একইভাবে দুদকের মামলার গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত আরেক শীর্ষ গডফাদার মোহাম্মদ আমিন ওরফে ‘ইয়াবা আমিন’। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নিহত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের বাবা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ওআর নিজাম রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৯ জুন) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার নামে মামলাটি দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। পুলিশের দাবি, মোহাম্মদ আমিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

গত ২২ মে দুদকের পক্ষ থেকে ইয়াবা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়। সম্পদের হিসাব চেয়ে তার স্ত্রীকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২০ জুন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. আমিন। এতে আমিন নিজের নামে মোট এক কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে এক কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এ ছাড়াও দুদক আরও তথ্য পায়, আমিন ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এদিকে মামলার কথা প্রচার পাবার পর আমিনকে নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে। আমিনের জন্য সাইফুল করিমের মতো ভাগ্য অপেক্ষা করছে কি-না সেটাও দেখার প্রতিক্ষায় রয়েছেন টেকনাফবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ মে সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তা মোহাম্মদ আমিনের মেয়ে তাসফিয়া আমিনের বলে শনাক্ত করেন। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩ মে মোহাম্মদ আমিন তাসফিয়ার ছেলে বন্ধু আদনানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সোহেল (১৭), শওকত মিরাজ (১৭), আসিফ মিজান (১৭), ইমতিয়াজ ইকরাম (১৭), সুলতান (২৪) ও ফিরোজ (৩০)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার ‘ইয়াবা আমিন’

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধিঃ
তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পর প্রকাশ্যে আসে দেশের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিমের নাম। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা। সাইফুল করিম এখন অতীত।

এবার একইভাবে দুদকের মামলার গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত আরেক শীর্ষ গডফাদার মোহাম্মদ আমিন ওরফে ‘ইয়াবা আমিন’। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নিহত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের বাবা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ওআর নিজাম রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৯ জুন) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার নামে মামলাটি দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। পুলিশের দাবি, মোহাম্মদ আমিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

গত ২২ মে দুদকের পক্ষ থেকে ইয়াবা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়। সম্পদের হিসাব চেয়ে তার স্ত্রীকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২০ জুন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. আমিন। এতে আমিন নিজের নামে মোট এক কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে এক কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এ ছাড়াও দুদক আরও তথ্য পায়, আমিন ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এদিকে মামলার কথা প্রচার পাবার পর আমিনকে নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে। আমিনের জন্য সাইফুল করিমের মতো ভাগ্য অপেক্ষা করছে কি-না সেটাও দেখার প্রতিক্ষায় রয়েছেন টেকনাফবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ মে সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তা মোহাম্মদ আমিনের মেয়ে তাসফিয়া আমিনের বলে শনাক্ত করেন। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩ মে মোহাম্মদ আমিন তাসফিয়ার ছেলে বন্ধু আদনানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সোহেল (১৭), শওকত মিরাজ (১৭), আসিফ মিজান (১৭), ইমতিয়াজ ইকরাম (১৭), সুলতান (২৪) ও ফিরোজ (৩০)।