ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




চুরি মামলায় বনানী তাঁতীলীগের সভাপতি টুন্ডা মমিন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১ ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মমিন ওরফে টুন্ডা মমিন, ওরফে গ্যাগ মমিন গুলশান থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার। ২৭ মার্চ শনিবার গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির মামলায় মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ মার্চ রবিবার মোমিনকে গুলশান থানা পুলিশ ৩৭৯ ধারায় চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১২।

এ ব্যাপারে গুলশান থানা ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, মমিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং চোরাকারবারি তার বিরুদ্ধে কড়াইল বস্তি এলাকায় গ্যাস চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, মমিন গতকাল গুলশান-১ এ সাতাশ নম্বর রোডে গাড়ির পার্টস চুরির উদ্দেশ্যে গাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। এই সময় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান তার গতিবিধি লক্ষ করতে থাকে। একপর্যায়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসআই গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মমিন চিহ্নিত গাড়ি চোর এবং কড়াইল বস্তি এলাকায় ত্রাণ সৃষ্টিকারী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে অবৈধ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বস্তির বিভিন্ন ঘরে সরবরাহ করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিতেও অবৈধ পন্থায় অর্থের প্রভাব খাটিয়ে বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি পথটি বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে মমিনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা সন্ধ্যার পর কড়াইল বস্তি থেকে নৌকার মাধ্যমে গুলশান-১ এ প্রবেশ করে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে সহসাই ওই নৌকাতে পার হয়ে আবার কড়াইল চলে আসে। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত মোমিনকে ধরা যাচ্ছিলোনা। কৌশলে মোমিনকে গতকালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মমিন গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মমিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ছিনতাই চুরি ও ডাকাতি মূল হোতা। তার অত্যাচারে করাইলে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ এবং তার ভাইদের অত্যাচারের ও সীমা নেই।

উল্লেখ্য, চুরির মামলায় গ্রেপ্তার মমিন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যাহা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছে। মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে ফলাও হলেও কোনভাবেই এতদিন মোমিনকে থামানো যায়নি। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মমিন এইসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চুরি মামলায় বনানী তাঁতীলীগের সভাপতি টুন্ডা মমিন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মমিন ওরফে টুন্ডা মমিন, ওরফে গ্যাগ মমিন গুলশান থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার। ২৭ মার্চ শনিবার গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির মামলায় মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ মার্চ রবিবার মোমিনকে গুলশান থানা পুলিশ ৩৭৯ ধারায় চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১২।

এ ব্যাপারে গুলশান থানা ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, মমিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং চোরাকারবারি তার বিরুদ্ধে কড়াইল বস্তি এলাকায় গ্যাস চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, মমিন গতকাল গুলশান-১ এ সাতাশ নম্বর রোডে গাড়ির পার্টস চুরির উদ্দেশ্যে গাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। এই সময় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান তার গতিবিধি লক্ষ করতে থাকে। একপর্যায়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসআই গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মমিন চিহ্নিত গাড়ি চোর এবং কড়াইল বস্তি এলাকায় ত্রাণ সৃষ্টিকারী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে অবৈধ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বস্তির বিভিন্ন ঘরে সরবরাহ করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিতেও অবৈধ পন্থায় অর্থের প্রভাব খাটিয়ে বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি পথটি বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে মমিনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা সন্ধ্যার পর কড়াইল বস্তি থেকে নৌকার মাধ্যমে গুলশান-১ এ প্রবেশ করে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে সহসাই ওই নৌকাতে পার হয়ে আবার কড়াইল চলে আসে। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত মোমিনকে ধরা যাচ্ছিলোনা। কৌশলে মোমিনকে গতকালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মমিন গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মমিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ছিনতাই চুরি ও ডাকাতি মূল হোতা। তার অত্যাচারে করাইলে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ এবং তার ভাইদের অত্যাচারের ও সীমা নেই।

উল্লেখ্য, চুরির মামলায় গ্রেপ্তার মমিন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যাহা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছে। মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে ফলাও হলেও কোনভাবেই এতদিন মোমিনকে থামানো যায়নি। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মমিন এইসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।