ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




কাজী রুকাইয়া ইয়াসমিন শম্পার হার না মানা জীবনের গল্প 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক: অথবা বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পরে ও থেমে যায়নি অদম্য শিক্ষার্থী শম্পা
গল্পটি কাজী রুকাইয়া ইয়াসমিন শম্পার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ তম সমাবর্তন এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অন্যতম কলেজ ইডেন মহিলা কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে বি.এস.সি. সম্মান ডিগ্রী লাভ করেছেন। হাজার সীমাবদ্ধতাকে জয় করে অনুপ্রেরণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।এখন বর্তমানে পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অন্যতম কলেজ ইডেন মহিলা কলেজে এম.এস.সি (মাৎস্যবিদ্যা) বিভাগে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তিনি। জীবনের সাথে কতটা যুদ্ধ করে তিনি উঠে এসেছেন আজকের এই অবস্থানে।বি.এস.সি(সম্মান) ডিগ্রী লাভ করব কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি। আর দশটা মেয়ের মত সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে পড়াশোনা করার মত সুযোগ হয় নি। কখন রাত হবে সবাই ঘুমিয়ে পড়বে আর সারা রাত জেগে ক্লাস এর পড়া নাহলে পরীক্ষার পড়া পড়ব এটাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।তবুও মনের মধ্যে একটা জিদ কাজ করত যে পড়াশোনা আমাকে করতেই হবে বড় আমাকে হতেই হবে।তাই সারাদিনের ক্লান্তি পরিশ্রমের পর রাতে যখন পড়তে বসতাম, ক্লান্তি শরীর সায় না দিলেও মনের জোরে পড়তে বসতাম।আমি যখন আমি যখন ক্লাস ২ তে পড়ি তখন আমার বাবার বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল গাড়িতে এক্সিডেন্ট করে আমার বাবা বিমান বাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এখন অবসরপ্রাপ্ত। মূলত গাড়ি এক্সিডেন্ট এর জন্য তার চাকরি চলে যায়। প্রথম থেকেই আমার পড়াশোনার সমস্ত ভারবহন এর দায়িত্ব পালন করেছেন আমার নানু আপা এবং আমার নানা ভাইয়া মমতা সালাম আর সালেহ আহমেদ সালাম।তাদের দুইজনের নাম এজন্য নিলাম যে তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট এর জন্য আমার এই পথ পাড়ি দেওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। ক্লাস ফাইভ এ পেয়েছিলাম ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। ক্লাস সেভেন এ বাবা মার অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয়ে যায়।এরপর হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে ছোট্ট শম্পার। ক্লাস নাইন এ পারিপার্শ্বিক নানা কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এবং দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আসা মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকায় চলে আসি নানুর বাসায়। নিজের বাসা ছাড়া অন্যের বাসায় পড়াশোনা করাটা কতটা কষ্টকর হোক সে যতই আপনজন এই অনুভূতি বেশ বড় করেই মনে জায়গা করে নিয়েছে আমার মনে অর্থনৈতিক বা খাওয়া পড়ার কষ্ট কখনো উপলব্ধি করিনি কিন্তু সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে পড়াশোনা না করতে পারা এবং মানসিক চাপ এর কষ্ট টা খুব ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। দিনে পড়তে পারতাম না কারণ প্রায় সময় বাসায় মেহমান থাকত বিশেষ করে পরীক্ষার সময়।নিজস্ব কোন রুম ছিল না পড়াশোনা করার। এজন্য পড়াশোনার একমাত্র সময় ছিলো গভীর রাত। আত্নীয় স্বজন সবাই ব্যাপারটা জানে যে শম্পা সারা রাত জেগে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেই। এভাবে এস.এস.সি পাশ করি ২০১০ এ জিপিএ ৫ পেয়ে। ইন্টারমিডিয়েট এ জিপিএ ৪ আসে কারণটা বলতে চাই না। ঢাকার বাইরে ভার্সিটিগুলোতে পরীক্ষা দেই কারণ পরিবারের রেস্ট্রিকশন ছিলো ঢাকার বাইরে পড়াবে না। এজন্য ঢাকাতেই চেষ্টা করি। হয়ে যায় ইডেন মহিলা কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। অনার্স শেষ বর্ষে পারিবারিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমি আমার নানু বাসা ছেড়ে দেই। শুরু হয় আসল সংগ্রামী জীবন। ফাইনাল ইয়ারের ফর্ম ফিলাপ করি আমি আমার কিন্ডারগার্টেন স্কুল এ পার্ট টাইম চাকরি করা টাকা দিয়ে। এভাবে অনার্স লাইফ এর চার বছর এর প্রতি বছর কষ্ট করে পড়াশোনা করে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে বি.এস.সি অনার্স পাশ করি। মা অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও তার সন্তান দের প্রতি এবং তাদের পড়াশোনার ব্যাপার এ খুবই সচেতন ছিলেন। যতদিন তার কাছে ছিলাম মা আমার পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছেন এবং আমার মা যাকে বিয়ে করেছেন তাকে আমার সৎ বাবা বলব না আমার বাবাই বলব তাকে কারণ তার ও অনেক সহযোগিতা ছিল আমার এই সংগ্রামী জার্নি তে। আমি আমার এই সম্মান ডিগ্রী প্রাপ্তির আনন্দটা নানু আপা নানু ভাইয়া সহ আমি আমার বাবা মা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। দূরে থেকেও তারা আমাকে অনেক অনূপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার জীবনে যারা আমার এই দূর্গম পথে সাথি হয়ে ছিলেন তাদের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই। শেষ সময়ে আমার বান্ধবীরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমাকে মানসিক ভাবে সাহায্য করার জন্য আমি আমার বান্ধবীদের কেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে চাই। এখন আমি মাস্টার্স করছি নিজের কষ্টের অর্জিত টিউশনির টাকায়। এর মাঝে যে শান্তি উপলব্ধি করছি আসলে বলে বোঝাতে পারব না। আমি ভবিষ্যতে সরকারি চাকরিজীবী হতে চাই। পাশাপাশি বর্তমানে একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার অর্থসম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছি।শুধু আর্থিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত নয় বরং যারা আমার মত মানসিকভাবেও সুবিধাবঞ্চিত তাদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার পড়াশোনার সর্বশেষ পথে আমার এই প্রিয় সংগঠন ও সংগঠন এর চেয়ারম্যান দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব আমার শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই ঢাল হয়ে দাড়িয়েছেন। আমি সবার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। নিজের সংগ্রামী জীবন ও আমার ভার্সিটি জীবন থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করেছি। এই শিক্ষা গ্রহণ করে এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। আমার এই শুভ পরিকল্পনায় সবার দোয়া কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কাজী রুকাইয়া ইয়াসমিন শম্পার হার না মানা জীবনের গল্প 

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

সকালের সংবাদ ডেস্ক: অথবা বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পরে ও থেমে যায়নি অদম্য শিক্ষার্থী শম্পা
গল্পটি কাজী রুকাইয়া ইয়াসমিন শম্পার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ তম সমাবর্তন এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অন্যতম কলেজ ইডেন মহিলা কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে বি.এস.সি. সম্মান ডিগ্রী লাভ করেছেন। হাজার সীমাবদ্ধতাকে জয় করে অনুপ্রেরণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।এখন বর্তমানে পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অন্যতম কলেজ ইডেন মহিলা কলেজে এম.এস.সি (মাৎস্যবিদ্যা) বিভাগে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তিনি। জীবনের সাথে কতটা যুদ্ধ করে তিনি উঠে এসেছেন আজকের এই অবস্থানে।বি.এস.সি(সম্মান) ডিগ্রী লাভ করব কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারি নি। আর দশটা মেয়ের মত সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে পড়াশোনা করার মত সুযোগ হয় নি। কখন রাত হবে সবাই ঘুমিয়ে পড়বে আর সারা রাত জেগে ক্লাস এর পড়া নাহলে পরীক্ষার পড়া পড়ব এটাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।তবুও মনের মধ্যে একটা জিদ কাজ করত যে পড়াশোনা আমাকে করতেই হবে বড় আমাকে হতেই হবে।তাই সারাদিনের ক্লান্তি পরিশ্রমের পর রাতে যখন পড়তে বসতাম, ক্লান্তি শরীর সায় না দিলেও মনের জোরে পড়তে বসতাম।আমি যখন আমি যখন ক্লাস ২ তে পড়ি তখন আমার বাবার বিমানবাহিনীর অফিসিয়াল গাড়িতে এক্সিডেন্ট করে আমার বাবা বিমান বাহিনীর একজন সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এখন অবসরপ্রাপ্ত। মূলত গাড়ি এক্সিডেন্ট এর জন্য তার চাকরি চলে যায়। প্রথম থেকেই আমার পড়াশোনার সমস্ত ভারবহন এর দায়িত্ব পালন করেছেন আমার নানু আপা এবং আমার নানা ভাইয়া মমতা সালাম আর সালেহ আহমেদ সালাম।তাদের দুইজনের নাম এজন্য নিলাম যে তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট এর জন্য আমার এই পথ পাড়ি দেওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। ক্লাস ফাইভ এ পেয়েছিলাম ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। ক্লাস সেভেন এ বাবা মার অফিসিয়ালি ডিভোর্স হয়ে যায়।এরপর হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে ছোট্ট শম্পার। ক্লাস নাইন এ পারিপার্শ্বিক নানা কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এবং দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আসা মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পেতে ঢাকায় চলে আসি নানুর বাসায়। নিজের বাসা ছাড়া অন্যের বাসায় পড়াশোনা করাটা কতটা কষ্টকর হোক সে যতই আপনজন এই অনুভূতি বেশ বড় করেই মনে জায়গা করে নিয়েছে আমার মনে অর্থনৈতিক বা খাওয়া পড়ার কষ্ট কখনো উপলব্ধি করিনি কিন্তু সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে পড়াশোনা না করতে পারা এবং মানসিক চাপ এর কষ্ট টা খুব ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। দিনে পড়তে পারতাম না কারণ প্রায় সময় বাসায় মেহমান থাকত বিশেষ করে পরীক্ষার সময়।নিজস্ব কোন রুম ছিল না পড়াশোনা করার। এজন্য পড়াশোনার একমাত্র সময় ছিলো গভীর রাত। আত্নীয় স্বজন সবাই ব্যাপারটা জানে যে শম্পা সারা রাত জেগে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেই। এভাবে এস.এস.সি পাশ করি ২০১০ এ জিপিএ ৫ পেয়ে। ইন্টারমিডিয়েট এ জিপিএ ৪ আসে কারণটা বলতে চাই না। ঢাকার বাইরে ভার্সিটিগুলোতে পরীক্ষা দেই কারণ পরিবারের রেস্ট্রিকশন ছিলো ঢাকার বাইরে পড়াবে না। এজন্য ঢাকাতেই চেষ্টা করি। হয়ে যায় ইডেন মহিলা কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। অনার্স শেষ বর্ষে পারিবারিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমি আমার নানু বাসা ছেড়ে দেই। শুরু হয় আসল সংগ্রামী জীবন। ফাইনাল ইয়ারের ফর্ম ফিলাপ করি আমি আমার কিন্ডারগার্টেন স্কুল এ পার্ট টাইম চাকরি করা টাকা দিয়ে। এভাবে অনার্স লাইফ এর চার বছর এর প্রতি বছর কষ্ট করে পড়াশোনা করে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে বি.এস.সি অনার্স পাশ করি। মা অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও তার সন্তান দের প্রতি এবং তাদের পড়াশোনার ব্যাপার এ খুবই সচেতন ছিলেন। যতদিন তার কাছে ছিলাম মা আমার পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছেন এবং আমার মা যাকে বিয়ে করেছেন তাকে আমার সৎ বাবা বলব না আমার বাবাই বলব তাকে কারণ তার ও অনেক সহযোগিতা ছিল আমার এই সংগ্রামী জার্নি তে। আমি আমার এই সম্মান ডিগ্রী প্রাপ্তির আনন্দটা নানু আপা নানু ভাইয়া সহ আমি আমার বাবা মা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। দূরে থেকেও তারা আমাকে অনেক অনূপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার জীবনে যারা আমার এই দূর্গম পথে সাথি হয়ে ছিলেন তাদের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই। শেষ সময়ে আমার বান্ধবীরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমাকে মানসিক ভাবে সাহায্য করার জন্য আমি আমার বান্ধবীদের কেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে চাই। এখন আমি মাস্টার্স করছি নিজের কষ্টের অর্জিত টিউশনির টাকায়। এর মাঝে যে শান্তি উপলব্ধি করছি আসলে বলে বোঝাতে পারব না। আমি ভবিষ্যতে সরকারি চাকরিজীবী হতে চাই। পাশাপাশি বর্তমানে একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠিত সংগঠন দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার অর্থসম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছি।শুধু আর্থিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত নয় বরং যারা আমার মত মানসিকভাবেও সুবিধাবঞ্চিত তাদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার পড়াশোনার সর্বশেষ পথে আমার এই প্রিয় সংগঠন ও সংগঠন এর চেয়ারম্যান দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব আমার শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই ঢাল হয়ে দাড়িয়েছেন। আমি সবার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। নিজের সংগ্রামী জীবন ও আমার ভার্সিটি জীবন থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করেছি। এই শিক্ষা গ্রহণ করে এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। আমার এই শুভ পরিকল্পনায় সবার দোয়া কামনা করছি।