ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ভোলার চরে মানবেতর জীবন ৪ লাখ মানুষের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি, ভোলা;
ভোলার চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন না হলে ভোলার উন্নয়ন সম্ভব না। চরাঞ্চলের প্রায় চার লাখ মানুষ আছে। চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে বাজেটে নির্দিষ্ট বরাদ্দ চাই! চাই নিরাপদ নৌযান ও চর ভাতা। এমন সব দাবিতে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে আজ সোমবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও পথসভা করেছেন চরাঞ্চলবাসী।

ভোলা জেলা জলবায়ু ফোরামের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্সি। বেসরকারি সংগঠন কোস্ট ট্রাস্টের জলবায়ু অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা অর্জন কৌশল প্রকল্পের সহায়তায় এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভোলার চারপাশে পানি। পূর্বে মেঘনা, উত্তরে ইলিশা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এসব নদী-সাগরের মধ্যে জেগে উঠেছে শতাধিক ছোট-বড় চর। এসব চরের সাতটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিয়ন। বাকিগুলো মূল ভূখণ্ডের ইউনিয়নের অংশ। এসব চরে প্রায় চার লাখ ভাঙনকবলিত ছিন্নমূল মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। চরবাসী চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক-মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নেই পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। পর্যাপ্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চরগুলোর চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় এক-দুই ফসলি জমি তিন ফসলি করা যাচ্ছে না। তাই চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে বাজেটে নির্ধারিত বরাদ্দ ও নিরাপদ নৌযান দরকার।

বরাদ্দ ও নিরাপদ নৌযানের দাবিতে আরও বক্তব্য দেন এ রব স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাফিয়া বেগম, কোস্ট ট্রাস্টের দলীয় প্রধান রাশিদা বেগম, সদর উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোকাম্মেল হক মিলন, সভাপতি ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির সভাপতি এরশাদ আলীসহ চরাঞ্চলবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন, দুর্গম চর মদনপুর ইউনিয়নে ২০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। ইউনিয়নের চারপাশে উত্তাল মেঘনা নদী। নেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার। চরের খালগুলো খনন না হওয়ায় ঝড়-বন্যায় নৌকাগুলো ভেসে যাচ্ছে। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র নেই। নেই পোস্ট অফিস। চরে পর্যাপ্ত সড়ক, সেতু-কালভার্ট নেই।

বক্তারা আরও বলেন, ভোলার সব চরাঞ্চলের অবস্থা মদনপুর ইউনিয়নের মতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভোলার চরে মানবেতর জীবন ৪ লাখ মানুষের

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯

প্রতিনিধি, ভোলা;
ভোলার চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন না হলে ভোলার উন্নয়ন সম্ভব না। চরাঞ্চলের প্রায় চার লাখ মানুষ আছে। চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে বাজেটে নির্দিষ্ট বরাদ্দ চাই! চাই নিরাপদ নৌযান ও চর ভাতা। এমন সব দাবিতে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে আজ সোমবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও পথসভা করেছেন চরাঞ্চলবাসী।

ভোলা জেলা জলবায়ু ফোরামের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্সি। বেসরকারি সংগঠন কোস্ট ট্রাস্টের জলবায়ু অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা অর্জন কৌশল প্রকল্পের সহায়তায় এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভোলার চারপাশে পানি। পূর্বে মেঘনা, উত্তরে ইলিশা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এসব নদী-সাগরের মধ্যে জেগে উঠেছে শতাধিক ছোট-বড় চর। এসব চরের সাতটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিয়ন। বাকিগুলো মূল ভূখণ্ডের ইউনিয়নের অংশ। এসব চরে প্রায় চার লাখ ভাঙনকবলিত ছিন্নমূল মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। চরবাসী চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক-মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নেই পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। পর্যাপ্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চরগুলোর চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় এক-দুই ফসলি জমি তিন ফসলি করা যাচ্ছে না। তাই চরাঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে বাজেটে নির্ধারিত বরাদ্দ ও নিরাপদ নৌযান দরকার।

বরাদ্দ ও নিরাপদ নৌযানের দাবিতে আরও বক্তব্য দেন এ রব স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাফিয়া বেগম, কোস্ট ট্রাস্টের দলীয় প্রধান রাশিদা বেগম, সদর উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোকাম্মেল হক মিলন, সভাপতি ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির সভাপতি এরশাদ আলীসহ চরাঞ্চলবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন, দুর্গম চর মদনপুর ইউনিয়নে ২০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। ইউনিয়নের চারপাশে উত্তাল মেঘনা নদী। নেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার। চরের খালগুলো খনন না হওয়ায় ঝড়-বন্যায় নৌকাগুলো ভেসে যাচ্ছে। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র নেই। নেই পোস্ট অফিস। চরে পর্যাপ্ত সড়ক, সেতু-কালভার্ট নেই।

বক্তারা আরও বলেন, ভোলার সব চরাঞ্চলের অবস্থা মদনপুর ইউনিয়নের মতো।