ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




থানায় ঝুলিয়ে যুবককে অমানুষিক নির্যাতন, চার পুলিশ বরখাস্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯ ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

বগুড়া সদর থানা হেফাজতে সোহান বাবু আদর (৩২) নামে এক যুবককে থানা হেফাজতে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ সুপারের আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ আলী, এএসআই নিয়ামত উল্লাহ এবং মুন্সী নামে পরিচিত কনস্টেবল এনামুল হক।

পুলিশের নির্যাতনের শিকার সোহান বাবু আদর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার সোহান বাবু আদর ও তার বড় বোন শম্পা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থানার কনস্টেবল (মুন্সী) এনামুল হক মোবাইল ফোনে সোহান বাবুকে থানায় আসতে বলেন। থানায় এলে তাকে হাজতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তার বোন রাতেই থানায় গেলে জানানো হয়, একই এলাকার সাথী বেগম তার মেয়েকে ইভটিজিং ও পাওনা টাকা না দেয়ার অভিযোগ করেছেন।

সোহান বাবু আদর জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত কনস্টেবল এনামুল, এসআই জব্বার এবং নাম না জানা একজন তাকে কখনও ঝুলিয়ে আবার কখনও হ্যান্ডকাপ দিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের কারণে তিনি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা থেকেই তার বাবা ও বোনকে ডেকে আনা হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে তাকে দেয়া হয়।

শুক্রবার রাতেই সোহান বাবু আদরকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে গেলে এসআই জব্বার এবং কনস্টেবল মুন্সী ভয়ভীতি দেখান। এ কারণে তারা রাতে বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি বলে জানান সোহান বাবুর বড় বোন শম্পা ।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহান বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম আসায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। এ ঘটনার আরও কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চত্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুল জব্বার, এএসআই মো. এরশাদ, এএসআই নিয়ামত উল্লাহ ও কনস্টেবল এনামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে বাবুর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




থানায় ঝুলিয়ে যুবককে অমানুষিক নির্যাতন, চার পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;

বগুড়া সদর থানা হেফাজতে সোহান বাবু আদর (৩২) নামে এক যুবককে থানা হেফাজতে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ সুপারের আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ আলী, এএসআই নিয়ামত উল্লাহ এবং মুন্সী নামে পরিচিত কনস্টেবল এনামুল হক।

পুলিশের নির্যাতনের শিকার সোহান বাবু আদর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার সোহান বাবু আদর ও তার বড় বোন শম্পা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থানার কনস্টেবল (মুন্সী) এনামুল হক মোবাইল ফোনে সোহান বাবুকে থানায় আসতে বলেন। থানায় এলে তাকে হাজতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তার বোন রাতেই থানায় গেলে জানানো হয়, একই এলাকার সাথী বেগম তার মেয়েকে ইভটিজিং ও পাওনা টাকা না দেয়ার অভিযোগ করেছেন।

সোহান বাবু আদর জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত কনস্টেবল এনামুল, এসআই জব্বার এবং নাম না জানা একজন তাকে কখনও ঝুলিয়ে আবার কখনও হ্যান্ডকাপ দিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের কারণে তিনি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা থেকেই তার বাবা ও বোনকে ডেকে আনা হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে তাকে দেয়া হয়।

শুক্রবার রাতেই সোহান বাবু আদরকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে গেলে এসআই জব্বার এবং কনস্টেবল মুন্সী ভয়ভীতি দেখান। এ কারণে তারা রাতে বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি বলে জানান সোহান বাবুর বড় বোন শম্পা ।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহান বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম আসায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। এ ঘটনার আরও কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চত্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুল জব্বার, এএসআই মো. এরশাদ, এএসআই নিয়ামত উল্লাহ ও কনস্টেবল এনামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে বাবুর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।