ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ঋণখেলাপিদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে : হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাইকোর্ট। ওই সার্কুলার স্থগিত চেয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় আদালত।

আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার নিয়ে কী বলেছে জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, মন্তব্য তো করেছেন অনেক। বলেছেন, এই সার্কুলার বাংলাদেশের ব্যাংকের দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন। আরো বলেছেন, যারা ঋণখেলাপি, তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যাংক থেকে লোন (ঋণ) নিয়ে পাচার করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে তারা আরও এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে যাবে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান।

আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারকে আদালত ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ মে আদালতে গিয়ে বলেছিলাম, এ সার্কুলারটি স্থগিত করা হোক। সেসময় শুনানিতে আদলত বাংলদেশের ব্যাংকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেছিল এ ধরনের সার্কুলার হয়েছে কি না। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হল, এ ধরনের কেনো সার্কুলার হয়নি। আদালত সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর না করে বলেছিল, তালিকা দিতে হবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তাদের সময় দেয় আদালত। এর প্রেক্ষিতে ১৬ মে বিকালেই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারটা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেটিই রোববার আমরা চ্যালেঞ্জ করে স্থগিত চেয়েছি।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ দিয়ে তারা ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে মুক্তি পাবে, সিআইবি-তে নাম থাকবে না, তখন ব্যাংক থেকে নতুন করে আবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যবে। এতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। এর প্রেক্ষিতেই আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম যে, সার্কুলারটা মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। আদালত ২৪ জুন পর্যন্ত এ সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে। ওই দিন পরবর্তী আদেশ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তালিকা দেওয়ার পরে।

সরকার ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিলেও ব্যাংকগুলো যে তা মানছে না- সে বিষয়টিও শুনানিতে এসেছে বলে মনজিল মোরসেদ জানান। তিনি বলেন, তারা তো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্দেশ্যই দেখা যাচ্ছে, যারা লুটপাট করছে টাকা-পয়সা লোন নিয়ে পরিশোধ করছে না তাদেরকে সাপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নেয়। এটাই বলেছে আদালত।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো নির্দেশনা পাইনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঋণখেলাপিদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে : হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ১০:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাইকোর্ট। ওই সার্কুলার স্থগিত চেয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয় আদালত।

আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার নিয়ে কী বলেছে জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, মন্তব্য তো করেছেন অনেক। বলেছেন, এই সার্কুলার বাংলাদেশের ব্যাংকের দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন। আরো বলেছেন, যারা ঋণখেলাপি, তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যাংক থেকে লোন (ঋণ) নিয়ে পাচার করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে তারা আরও এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে যাবে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান।

আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারকে আদালত ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ মে আদালতে গিয়ে বলেছিলাম, এ সার্কুলারটি স্থগিত করা হোক। সেসময় শুনানিতে আদলত বাংলদেশের ব্যাংকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেছিল এ ধরনের সার্কুলার হয়েছে কি না। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হল, এ ধরনের কেনো সার্কুলার হয়নি। আদালত সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর না করে বলেছিল, তালিকা দিতে হবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তাদের সময় দেয় আদালত। এর প্রেক্ষিতে ১৬ মে বিকালেই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারটা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেটিই রোববার আমরা চ্যালেঞ্জ করে স্থগিত চেয়েছি।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ দিয়ে তারা ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে মুক্তি পাবে, সিআইবি-তে নাম থাকবে না, তখন ব্যাংক থেকে নতুন করে আবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যবে। এতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। এর প্রেক্ষিতেই আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম যে, সার্কুলারটা মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। আদালত ২৪ জুন পর্যন্ত এ সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে। ওই দিন পরবর্তী আদেশ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তালিকা দেওয়ার পরে।

সরকার ব্যাংকগুলোকে ঋণের সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিলেও ব্যাংকগুলো যে তা মানছে না- সে বিষয়টিও শুনানিতে এসেছে বলে মনজিল মোরসেদ জানান। তিনি বলেন, তারা তো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্দেশ্যই দেখা যাচ্ছে, যারা লুটপাট করছে টাকা-পয়সা লোন নিয়ে পরিশোধ করছে না তাদেরকে সাপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নেয়। এটাই বলেছে আদালত।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো নির্দেশনা পাইনি।