ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অবকাঠামো নির্মাণের বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট তছরুপ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমান। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীর সাথে একজোট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় তিনি লুটেছেন শত কোটি টাকা। নিজেকে খুবই খানদানি ও ধনী পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করা এই সৈয়দ হাবীবুর রহমান পৈত্রিক সূত্রেই নাকি শতকোটি টাকার মালিক।
রাজধানী ঢাকার কাফরুলে স্থানীয় সৈয়দ হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার দানবীর পরিবার হিসেবে সুপরিচিত। তার আপন বড় ভাই কাশেম একজন সুপরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। ২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচনে বড়ভাই কাশেম এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাকে অন্য বড় কোথাও বসানোর আশ্বাস দিলে তিনি আর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির খবর জেনে যাওয়ায় তারই অফিসের অ্যাকাউন্ট সেকশনের সৎ কর্মকর্তা সিরাজ কে চাকুরী জীবন শেষ হওয়ার পূর্বেই এই হাবিবুর রহমান চক্রান্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। ওই পদে এখন তিনি নিয়োগ দিয়েছেন মুরাদ নামের একজন ব্যক্তিকে। এই মুরাদই এখন সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী। অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার আইয়ুবুর রহমান আকন্দ তার আরেক সহযোগী। আইয়ুবুর রহমানই সৈয়দ হাবিবুর রহমানের নির্দেশে টাকার হিসেবে নয় ছয় করে লোপাটকৃত টাকার হিসেব মিলিয়ে দেন। বিনিময়ে আইয়ুব এর পকেটও ভারী হচ্ছে কোটি কোটি টাকায়।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনের সাথে মিলে দুর্নীতিবাজ এই অর্থ পরিচালক সৈয়দ হাবিবুর রহমান লুটেছেন শত কোটি টাকা। রাজধানী ঢাকায় নামে বেনামে গড়েছেন অগাধ সম্পদ।
ক্ষমতার পালা বদলে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হলেও অর্থ পরিচালক দুর্নীতিবাজ সৈয়দ হাবিবুর রহমান রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় কোন তদন্ত না হয় সেজন্য নবনিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও স্বাস্থ্য সচিব কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছেন।
অধিদপ্তরে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এই প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সৈয়দ হাবিবুর রহমান বিগত সরকার আমলে উন্মুক্তভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুট করে এখন চাকরি থেকে অবসরের পথে। একবার অবসরে চলে গেলে তাকে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামাবে না। তার বিষয়ে তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা অধিদপ্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের প্রানের দাবি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমানের বিলাসী জীবন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ, অর্থ কেলেঙ্কারি, রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে যাতায়াত মদ্যপান, জুয়া ,নারীদের নিয়ে জলসা মজলিসের বিস্তারিত থাকবে ২য় পর্বে।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অবকাঠামো নির্মাণের বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট তছরুপ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমান। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীর সাথে একজোট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় তিনি লুটেছেন শত কোটি টাকা। নিজেকে খুবই খানদানি ও ধনী পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করা এই সৈয়দ হাবীবুর রহমান পৈত্রিক সূত্রেই নাকি শতকোটি টাকার মালিক।
রাজধানী ঢাকার কাফরুলে স্থানীয় সৈয়দ হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার দানবীর পরিবার হিসেবে সুপরিচিত। তার আপন বড় ভাই কাশেম একজন সুপরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। ২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচনে বড়ভাই কাশেম এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাকে অন্য বড় কোথাও বসানোর আশ্বাস দিলে তিনি আর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির খবর জেনে যাওয়ায় তারই অফিসের অ্যাকাউন্ট সেকশনের সৎ কর্মকর্তা সিরাজ কে চাকুরী জীবন শেষ হওয়ার পূর্বেই এই হাবিবুর রহমান চক্রান্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। ওই পদে এখন তিনি নিয়োগ দিয়েছেন মুরাদ নামের একজন ব্যক্তিকে। এই মুরাদই এখন সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী। অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার আইয়ুবুর রহমান আকন্দ তার আরেক সহযোগী। আইয়ুবুর রহমানই সৈয়দ হাবিবুর রহমানের নির্দেশে টাকার হিসেবে নয় ছয় করে লোপাটকৃত টাকার হিসেব মিলিয়ে দেন। বিনিময়ে আইয়ুব এর পকেটও ভারী হচ্ছে কোটি কোটি টাকায়।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনের সাথে মিলে দুর্নীতিবাজ এই অর্থ পরিচালক সৈয়দ হাবিবুর রহমান লুটেছেন শত কোটি টাকা। রাজধানী ঢাকায় নামে বেনামে গড়েছেন অগাধ সম্পদ।
ক্ষমতার পালা বদলে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হলেও অর্থ পরিচালক দুর্নীতিবাজ সৈয়দ হাবিবুর রহমান রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় কোন তদন্ত না হয় সেজন্য নবনিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও স্বাস্থ্য সচিব কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছেন।
অধিদপ্তরে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এই প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সৈয়দ হাবিবুর রহমান বিগত সরকার আমলে উন্মুক্তভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুট করে এখন চাকরি থেকে অবসরের পথে। একবার অবসরে চলে গেলে তাকে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামাবে না। তার বিষয়ে তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা অধিদপ্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের প্রানের দাবি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমানের বিলাসী জীবন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ, অর্থ কেলেঙ্কারি, রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে যাতায়াত মদ্যপান, জুয়া ,নারীদের নিয়ে জলসা মজলিসের বিস্তারিত থাকবে ২য় পর্বে।

Loading