ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১) Logo টাঙ্গাইল-৩ আসনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে মাইনুল ইসলাম

আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ২৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বহুল আলোচিত অপসারিত এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রধান কালেকটর খ্যাত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।

পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর এই কর্মকর্তা বর্তমানে খুলনায় নির্বাহী প্রকৌশলী(চ.দা.) হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাকে এই পদে যোগদানের জন্য তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। স্মরক নং ৩১.০০.০০০০.০০১.২৪-৯৯, তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৪।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে অধিদফতরগুলো থেকে টাকা আদায়ের খবর বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌছে যাবার পরিপ্রেক্ষিতে এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন কে ৮ এপ্রিল অপসারণ করা হয়। অথচ বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল হাসান।

সূত্রমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস পদ থেকে মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে , উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন অধিদফতরগুলো থেকে টাকা আদায়।

জানাগেছে, এপিএস পদে নিয়োগ পাবার কিছু দিনের মধ্যই মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রতিটি অধিদফতরে একজন করে এজেন্ট বাছাই করেন। এদের দায়িত্ব ছিলো উপদেষ্টার কথা বলে নিজ নিজ অধিদফতর থেকে বিভিন্ন উছিলায় টাকা সংগ্রহ করে তা এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে পৌছে দেয়া।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসানকে। অন্যান্য অধিদফতরের এজেন্টদের উপর নজরদারী করার বাড়তি ক্ষমতাও তাঁকে দেয়া হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে টাকা আদায় করার ক্ষেত্রে তিনি চরম বাড়াবাড়ি করেতে শুরু করেন।

একটি নির্ভরেযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, হাসিনা সরকারের শেষ দিকে ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দকে পিএস এবং শ্যালকের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা দিয়ে খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি বাগিয়ে নেন অতি চতুর মোঃ মঈনুল হাসান। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের লুটেরা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য এবং ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের একান্ত আস্থাভাজন হয়েও ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে বহাল তবিয়তে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে রাজনৈতিক বলয়ে থেকে নানা সুবিধা গ্রহন করেছেন। মন্ত্রীর আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায়; অনিয়ম দুর্নীতি করে অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন।

এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এর রাজনৈতিক প্রভাবে সুবিধা গ্রহন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে অবস্থান ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদক) অভিযোগ সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়ে হচ্ছে আগামী প্রতিবেদনে…..

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে! 

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বহুল আলোচিত অপসারিত এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রধান কালেকটর খ্যাত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।

পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর এই কর্মকর্তা বর্তমানে খুলনায় নির্বাহী প্রকৌশলী(চ.দা.) হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাকে এই পদে যোগদানের জন্য তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। স্মরক নং ৩১.০০.০০০০.০০১.২৪-৯৯, তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৪।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে অধিদফতরগুলো থেকে টাকা আদায়ের খবর বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌছে যাবার পরিপ্রেক্ষিতে এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন কে ৮ এপ্রিল অপসারণ করা হয়। অথচ বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল হাসান।

সূত্রমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস পদ থেকে মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে , উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন অধিদফতরগুলো থেকে টাকা আদায়।

জানাগেছে, এপিএস পদে নিয়োগ পাবার কিছু দিনের মধ্যই মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রতিটি অধিদফতরে একজন করে এজেন্ট বাছাই করেন। এদের দায়িত্ব ছিলো উপদেষ্টার কথা বলে নিজ নিজ অধিদফতর থেকে বিভিন্ন উছিলায় টাকা সংগ্রহ করে তা এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে পৌছে দেয়া।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসানকে। অন্যান্য অধিদফতরের এজেন্টদের উপর নজরদারী করার বাড়তি ক্ষমতাও তাঁকে দেয়া হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে টাকা আদায় করার ক্ষেত্রে তিনি চরম বাড়াবাড়ি করেতে শুরু করেন।

একটি নির্ভরেযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, হাসিনা সরকারের শেষ দিকে ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দকে পিএস এবং শ্যালকের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা দিয়ে খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি বাগিয়ে নেন অতি চতুর মোঃ মঈনুল হাসান। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের লুটেরা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য এবং ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের একান্ত আস্থাভাজন হয়েও ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে বহাল তবিয়তে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে রাজনৈতিক বলয়ে থেকে নানা সুবিধা গ্রহন করেছেন। মন্ত্রীর আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায়; অনিয়ম দুর্নীতি করে অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন।

এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমলে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হাসান এর রাজনৈতিক প্রভাবে সুবিধা গ্রহন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে অবস্থান ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদক) অভিযোগ সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়ে হচ্ছে আগামী প্রতিবেদনে…..