ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

ধরাছোঁয়ার বাইরে ঝিনাইগাতির আওয়ামী ক্যাডার জিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩১ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: আওয়ামী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.জিয়া নামে এক আওয়ামী পন্থী নেতার বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজেকে ক্যাডার হিসেবে জাহির করেছেন। বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগের ক্যাডার জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, সীমান্তে চোরাচালান, অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.জিয়া (৩৮) শেরপুরের ঝিনাইগাতির উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের  এবং একই ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের সোরহাবের ছেলে।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
আওয়ামী রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ধরে জিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সীমান্তে নারী পাচার, মাদক, গরু, চিনি, অস্ত্র ও ভারতের অবৈধ মালামাল বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রধান ছিল জিয়া।

সরকার পতনের পর বেশ কিছু আওয়ামীলীগ নেতাকে গজনী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সে।

নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে অন্যের জমি লিখে নেওয়া এবং দখল করার সাথেও সে জড়িত ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, আদিবাসী নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতো এই জিয়া। নানারকম ফন্দি আঁটিয়ে নারীদের ব্লেক মেইল করে নির্যাতন ও ধর্ষণ করতো যুবলীগ নেতা জিয়া। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ধরাছোঁয়ার বাইরে ঝিনাইগাতির আওয়ামী ক্যাডার জিয়া

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: আওয়ামী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.জিয়া নামে এক আওয়ামী পন্থী নেতার বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজেকে ক্যাডার হিসেবে জাহির করেছেন। বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগের ক্যাডার জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, সীমান্তে চোরাচালান, অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.জিয়া (৩৮) শেরপুরের ঝিনাইগাতির উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের  এবং একই ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের সোরহাবের ছেলে।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
আওয়ামী রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ধরে জিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সীমান্তে নারী পাচার, মাদক, গরু, চিনি, অস্ত্র ও ভারতের অবৈধ মালামাল বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রধান ছিল জিয়া।

সরকার পতনের পর বেশ কিছু আওয়ামীলীগ নেতাকে গজনী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সে।

নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে অন্যের জমি লিখে নেওয়া এবং দখল করার সাথেও সে জড়িত ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, আদিবাসী নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতো এই জিয়া। নানারকম ফন্দি আঁটিয়ে নারীদের ব্লেক মেইল করে নির্যাতন ও ধর্ষণ করতো যুবলীগ নেতা জিয়া। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সে।