ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ধরাছোঁয়ার বাইরে ঝিনাইগাতির আওয়ামী ক্যাডার জিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: আওয়ামী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.জিয়া নামে এক আওয়ামী পন্থী নেতার বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজেকে ক্যাডার হিসেবে জাহির করেছেন। বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগের ক্যাডার জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, সীমান্তে চোরাচালান, অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.জিয়া (৩৮) শেরপুরের ঝিনাইগাতির উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের  এবং একই ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের সোরহাবের ছেলে।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
আওয়ামী রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ধরে জিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সীমান্তে নারী পাচার, মাদক, গরু, চিনি, অস্ত্র ও ভারতের অবৈধ মালামাল বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রধান ছিল জিয়া।

সরকার পতনের পর বেশ কিছু আওয়ামীলীগ নেতাকে গজনী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সে।

নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে অন্যের জমি লিখে নেওয়া এবং দখল করার সাথেও সে জড়িত ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, আদিবাসী নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতো এই জিয়া। নানারকম ফন্দি আঁটিয়ে নারীদের ব্লেক মেইল করে নির্যাতন ও ধর্ষণ করতো যুবলীগ নেতা জিয়া। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধরাছোঁয়ার বাইরে ঝিনাইগাতির আওয়ামী ক্যাডার জিয়া

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: আওয়ামী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.জিয়া নামে এক আওয়ামী পন্থী নেতার বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নিজেকে ক্যাডার হিসেবে জাহির করেছেন। বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগের ক্যাডার জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, সীমান্তে চোরাচালান, অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.জিয়া (৩৮) শেরপুরের ঝিনাইগাতির উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের  এবং একই ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের সোরহাবের ছেলে।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।
আওয়ামী রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ধরে জিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সীমান্তে নারী পাচার, মাদক, গরু, চিনি, অস্ত্র ও ভারতের অবৈধ মালামাল বিক্রির সিন্ডিকেটের প্রধান ছিল জিয়া।

সরকার পতনের পর বেশ কিছু আওয়ামীলীগ নেতাকে গজনী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সে।

নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল জিয়া ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে অন্যের জমি লিখে নেওয়া এবং দখল করার সাথেও সে জড়িত ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, আদিবাসী নারীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতো এই জিয়া। নানারকম ফন্দি আঁটিয়ে নারীদের ব্লেক মেইল করে নির্যাতন ও ধর্ষণ করতো যুবলীগ নেতা জিয়া। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সে।