ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৩১২ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1,"transform":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রায়হান হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি:

শ্রেণীকক্ষের জানালাগুলো ভেঙ্গে গেছে, ভাঙ্গাচুরা কাঠের টুকরোর সাহায্যে জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে কক্ষ ঢাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবনের দেয়ালগুলোরও নাজুক অবস্থা, পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। প্রতি বছর বর্ষায় ভবনের গা ছুয়ে পানি বেশ কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এখানেই শেষ নয়, আরো অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকই নাই গত এক বছর যাবত। বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। প্রায় এক থেকে দেড় বছর ধরে এই স্কুলের নেই প্রধান গেইট। ফলে স্কুল ছুটির পর বহিরাগতরা স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন, এমনকি খোদ শ্রেনীকক্ষের ভেতরেও মাদক ও জুয়া চলে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

নগরের বড়পোলের দক্ষিনে পোর্ট কানেক্টিং সড়কের পাশে বন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে স্থাপিত স্কুলটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অবকাঠামো দিক থেকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত রয়েছে পাঠদানের ব্যবস্থা। অন্যদিকে স্কুলে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করলেও তাদের নিরাপত্তা প্রদানে গত এক থেকে দেড় বছর যাবত নেই স্কুলের প্রধান গেইট। একটা সময় জীর্নশীর্ন ঝং পড়া একটি গেইট থাকলেও বরাদ্দের পর এটি খুলে ফেলা হয়েছে। আর তাই এখন এক প্রকার খোলা অবস্থাতেই চলছে স্কুলের পাঠদান। ফলে স্কুলে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে নিরাপত্তা। শুধু তাই নয় স্কুল ছুটির পর এখানে জুয়া ও মাদক সেবনেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও স্কুলের সীমানায় চোরাকারবারিরা লোহা এনে স্তুপ করে বলেও জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দেড় বছর যাবত বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান ফটক। ফলে বহিরাগতরা সেখানে প্রবেশ করে জুয়া ও মাদক সেবন করে। তারা আরও বলেন, এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করায় একাধিকবার স্থানীয়দের সাথে বহিরাগতদের হাতাহাতিও হয়েছে। এছাড়াও সেখানে চোরাই মালামাল বোঝাই করে রাখার অভিযোগও করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, রেলওয়ে থেকে বরাদ্দ আসায় আগের গেইট খুলে ফেলা হয়েছে। এখানে এক বছর যাবত প্রধান গেইট নেই। আমরা কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানালেও তারা সময়মত কাজ না করে দেয়ালের কিছু সীমানা নির্মান করে উল্টো ব্যাংক থেকে বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কল রিসিভ করছে না। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এখনও কোন সুরাহা করতে পারছে না।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া!

আপডেট সময় : ১২:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

রায়হান হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি:

শ্রেণীকক্ষের জানালাগুলো ভেঙ্গে গেছে, ভাঙ্গাচুরা কাঠের টুকরোর সাহায্যে জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে কক্ষ ঢাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবনের দেয়ালগুলোরও নাজুক অবস্থা, পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। প্রতি বছর বর্ষায় ভবনের গা ছুয়ে পানি বেশ কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এখানেই শেষ নয়, আরো অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকই নাই গত এক বছর যাবত। বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। প্রায় এক থেকে দেড় বছর ধরে এই স্কুলের নেই প্রধান গেইট। ফলে স্কুল ছুটির পর বহিরাগতরা স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন, এমনকি খোদ শ্রেনীকক্ষের ভেতরেও মাদক ও জুয়া চলে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

নগরের বড়পোলের দক্ষিনে পোর্ট কানেক্টিং সড়কের পাশে বন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে স্থাপিত স্কুলটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অবকাঠামো দিক থেকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত রয়েছে পাঠদানের ব্যবস্থা। অন্যদিকে স্কুলে প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করলেও তাদের নিরাপত্তা প্রদানে গত এক থেকে দেড় বছর যাবত নেই স্কুলের প্রধান গেইট। একটা সময় জীর্নশীর্ন ঝং পড়া একটি গেইট থাকলেও বরাদ্দের পর এটি খুলে ফেলা হয়েছে। আর তাই এখন এক প্রকার খোলা অবস্থাতেই চলছে স্কুলের পাঠদান। ফলে স্কুলে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে নিরাপত্তা। শুধু তাই নয় স্কুল ছুটির পর এখানে জুয়া ও মাদক সেবনেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও স্কুলের সীমানায় চোরাকারবারিরা লোহা এনে স্তুপ করে বলেও জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দেড় বছর যাবত বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান ফটক। ফলে বহিরাগতরা সেখানে প্রবেশ করে জুয়া ও মাদক সেবন করে। তারা আরও বলেন, এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করায় একাধিকবার স্থানীয়দের সাথে বহিরাগতদের হাতাহাতিও হয়েছে। এছাড়াও সেখানে চোরাই মালামাল বোঝাই করে রাখার অভিযোগও করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, রেলওয়ে থেকে বরাদ্দ আসায় আগের গেইট খুলে ফেলা হয়েছে। এখানে এক বছর যাবত প্রধান গেইট নেই। আমরা কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানালেও তারা সময়মত কাজ না করে দেয়ালের কিছু সীমানা নির্মান করে উল্টো ব্যাংক থেকে বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কল রিসিভ করছে না। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এখনও কোন সুরাহা করতে পারছে না।

Loading